এমন জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দলের এমএসএন খ্যাত তিন তারকা লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও নেইমার। শেষ গোলটিতে শট নিয়ে বলার মতো অবদান রাখেন সার্জিও রোবের্টো।
বুধবার রাতে ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু’তে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নদের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে আতিথিয়েতা জানায় বার্সা। তবে প্রথম লেগের চাপ থাকা সত্ত্বেও মনোবল হারায়নি দলটি। তুলে নেয় দুর্দান্ত এ জয়। প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৪-০ গোলে হেরে অঘটনেরই শিকার হয়েছিল তারা।
এদিন গোলের শুরুটা করেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজ। তিনি মাত্র তিন মিনিটেই ক্রস থেকে পাওয়া বলে গোল করলে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায় স্বাগতিকদের। তবে প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকটি আক্রমণ রচনা করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না দলটি। শেষ পর্যন্ত ৪০ মিনিটে লিড দ্বিগুণ হয়। বার্সার আক্রমণে বল সেভ করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই শট করে বসেন কুরজাওয়া। ফলে ২-০তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় বার্সা। ফলে গোল সংখ্যা বাড়াতে বেশি সময় নেয়নি দলটি। ৫০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলের লিড ৩-০তে নিয়ে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। তবে ৬২ মিনিটে বার্সা শিবিরে দুঃখ নিয়ে আনেন পিএসজি স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি। সেই কুরজাওয়ার পাসে একটি গোল পরিশোধ করেন সুয়ারেজের জাতীয় দলের এ সতীর্থ।
বিপাকে পড়েও দমে যায়নি বার্সা। এদিন আসলে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়া কাকে বলে তাই-ই দেখিয়েছে দলটি। ফলে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে দারুণ এক ফ্রি-কিকে স্কোর ৪-১ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। পরে রেফারি অতিরিক্ত আরও পাঁচ মিনিট যোগ করলে সুযোগ হাতছাড়া করেননি বার্সা।
ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটেই পেনাল্টির আরও একটি সুযোগ পায় বার্সা। আর সেখান থেকে নিজের জোড়া গোল করতে কোনো ভুল করেননি নেইমার। ম্যাচের শেষ ম্যাজিকটি দেখান রোবের্টো। ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে দারুণ এক গোল করে দলের জয়ে একরকম সবচেয়ে বড় অবদানটিই রাখেন এ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
খেলার বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ৬-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা। আর দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৫ ব্যবধানের অ্যাগ্রিগেটে শেষ আট নিশ্চিত করলো এনরিক শিষ্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৩ ঘণ্টা, ০৯ মার্চ, ২০১৭
এমএমএস