ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে জুভিদের সামনে এক বছরের বিরতিতে দু’বার ফাইনাল খেলার হাতছানি! ২০১৫ আসরে বার্সেলোনার কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। এবার কোনো অঘটন না ঘটলে শিরোপা নিধারণীতে বার্সারই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে মোকাবেলা করতে হবে!
মঙ্গলবার (৯ মে) জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ১টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে।
প্রথম লেগে জোড়া গোল করে দলকে চালকের আসনে নিয়ে যান গঞ্জালো হিগুয়েইন। দু’টি অ্যাওয়ে গোলের সুবিধাই এগিয়ে রাখছে জুভেন্টাসকে। আক্রমণভাগে হিগুয়েইনকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন তারই স্বদেশী উঠতি তারকা পাওলো দিবালা। এ মৌসুমে দুর্দান্ত খেলা ফ্রান্সের মোনাকোর সামনে পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
গত ১৪ বারের চেষ্টায় কোনো দলই হোম ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে হেরে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় কোনো ফ্রেঞ্চ ক্লাবই জুভেন্টাসকে তাদের মাঠে হারাতে পারেনি (৩ ড্র, ১১ হার)। চ্যাম্পিয়নস লিগে মোনাকোর দু’টি ট্রিপ শেষ হয় হারের হতাশায় (১৯৯৭-৯৮ সেমিফাইনালে ৪-১ ও ২০১৪-১৫ আসরের কোয়ার্টারে ১-০)।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল। ১৯ বছর আগে (১৯৯৭-৯৮ মৌসুম) দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ অ্যাগ্রিগেটের জয়ে ফাইনালে উঠলেও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে যায় জুভিরা।
২০০৩-০৪ থেকে ২০১৩-১৪ মৌসুম পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে উঠতে ব্যর্থ জুভেন্টাসই তিন সিজনের মধ্যে দু’বার শেষ চারে খেলছে। নিজেদের শেষ ছয়টি সেমির মধ্যে পাঁচবারই তারা ফাইনাল নিশ্চিত করে।
অন্যদিকে, ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমের পর চতুর্থবারের মতো সেমিতে উত্তীর্ণ হয় মোনাকো। যেখানে অন্য কোনো ফ্রেঞ্চ টিম একবারের বেশি শেষ চারে নাম লেখাতে পারেনি।
এবারের আসরে রিয়ালের সঙ্গে জুভেন্টাস এখন পর্যন্ত অপরাজেয় (৮ জয়, ৩ ড্র)। সব মিলিয়ে হোম ভেন্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের শেষ ১৮টি ম্যাচেই অপরাজিত তারা (১১ জয়, ৭ ড্র)। এ প্রতিযোগিতায় ঘরের মাটিতে হার এড়িয়ে এটাই তাদের দীর্ঘ অপরাজেয় দৌড়। বায়ার্ন মিউনিখ সবশেষ টিম যারা জুভেন্টাসে গিয়ে জয় নিয়ে ফেরে (২-০, ২০১৩ সালের এপ্রিলে)।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ৯ মে, ২০১৭
এমআরএম