প্রকাশিত খবরে ‘ইএসপিএন’ বলছে, অতীতে ব্রাজিল ন্যাশনাল টিমের ম্যাচের জন্য টেলিভিশন স্বত্ব কেনা সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং মামলায় তদন্ত চলছে। সে কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে রোসেলকে।
জানা যায়, ‘অপারেশন রিমেট’র অংশ হিসেবে বার্সেলোনায় অফিস, বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্পেনের অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। বলা হচ্ছে, ২০১৫ সালে ফিফার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মামলার জের ধরেই এফবিআই’র (যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা) তথ্যের ভিত্তিতে এ অপারেশন পরিচালনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অন্য একটি উচ্চতর মামলায় ২০১৪ সালের শুরুর দিকে বার্সার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন রোসেল। তার বিরুদ্ধে সান্তোস থেকে নেইমারকে সই করাতে ৫৭ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি’র ফান্ড থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। ওই সময়ে ক্লাব সদস্য জর্ডি কাসেস দাবি করেছিলেন, উল্লেখিত অর্থের চেয়ে বেশি পরিমান অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। মামলাটি এখনো চলমান।
নেইমারের ট্রান্সফার ফি নিয়ে ব্রাজিলিয়ান তদন্ত সংস্থা ‘ডিআইএস’ কর্তৃক অভিযোগের ভিত্তিতে জালিয়াতি ও দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়। নেইমারের সঙ্গে রোসেল, বর্তমান ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ, সান্তোস ও নেইমারের পরিবার দ্বারা পরিচালিত কোম্পানি আদালতে বিচারের সম্মুখীন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ২৩ মে, ২০১৭
এমআরএম