একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ‘ইএসপিএন’ বলছে, সন্দেহপূর্ণ কর জালিয়াতি তদন্তের অংশ হিসেবে পিএসজির হেড অফিস, রাজধানী প্যারিসের বাইরের অন্যান্য কার্যালয়ের পাশাপাশি অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া ও হাভিয়ের পাস্তোরের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।
তিনজন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়ের বাড়িতে তল্লাসি চালিয়েছে পুলিশের দুর্নীতি দমন ইউনিট।
শীর্ষ খেলোয়াড়, কোচ ও ক্লাবকে ঘিরে ফাঁস হাওয়া কথিত কর ফাঁকির অভিযোগে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে গত বছরের ডিসেম্বরে তদন্ত কাজ শুরু করে ন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল প্রসিকিউটর অফিস। ফ্রেঞ্চ মিডিয়ায় দেওয়া এক বিবৃতিতে পিএসজি বলছে, ‘ক্লাবের দু’জন (ডি মারিয়া ও পাস্তোরে) খেলোয়াড়কে ঘিরে আবেদনের প্রেক্ষিতে তথ্য ও ডকুমেন্ট আদানপ্রদান করেছে পিএসজি। ’
বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, ‘এই দু’জনের চুক্তি সংক্রান্ত ডকুমেন্টস নিয়মিত শর্ত মেনেই যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। ক্লাব অত্যন্ত কঠোরতার সঙ্গে পদ্ধতিগতভাবে তা প্রদর্শন করেছে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ থেকে যেকোনো আবেদনে যথাযথ স্বচ্ছতা বজায় রেখে যেকোনো বিষয়ে প্রশ্নের মঠিক উত্তর দেওয়া অব্যাহত রাখবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ’
গত বছরের ডিসেম্বরে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ডি মারিয়া কর ফাঁকি ইস্যুতে অভিযুক্ত হন। এছাড়াও জাভি আলোনসো ও রিকার্ডো কারভালহোকে এর আওয়ায় আনেন মাদ্রিদ অঞ্চলের প্রসিকিউটর। দু’জনই সাবেক রিয়াল খেলোয়াড়।
এদিকে, সন্দেহভাজনদের তালিকায় পিএসজির উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানির নাম শোনা যাচ্ছে। প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ৫ লাখ ইউরো কর পরিশোধ এড়ানোর চেষ্টা করেছেন কাভানি। যদিও এক সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি এবং সম্পূর্ণ সঠিকভাবে ফ্রেঞ্চ ট্যাক্স আইন মেনে চলছেন বলেও নিজের অবস্থান তুলে ধরেন।
নতুন একটি বিবৃতিতে কাভানির এজেন্ট বলছেন, ‘কর ফাঁকির ভিত্তিহীন অভিযোগটি কাভানি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে আবারো অস্বীকার করেছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ২৪ মে, ২০১৭
এমআরএম