চীনা অর্থে ফুটবল তারকাদের মাথা বিগড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক ছিল। ফুটবলাররাও তো রক্ত মাংসে গড়া মানুষ।
আর্জেন্টাইন তারকা তেভেজ জানিয়েছেন, ‘সাংহাইয়ে আমি ফেনোমেনন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হচ্ছে আমি এখানেই থাকবো নাকি চলে যাবো শৈশবের ক্লাব বোকায়। এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমি আজই ফেরার কথা ভাবছি না। এ বছরটা আমি চীনেই কাটিয়ে দেব। যেহেতু তাদের সাথে আমার চুক্তি রয়েছে। এরপর হয়তো বোকায় ফিরবো। আমার পরিবারের সাথে আলোচনা করেই আমি এ সিদ্ধান্ত নেব। ’
৩৩ বছর বয়সী তেভেজ রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখছেন। তাতে হয়তো চীনের ক্লাববে বাধা হয়ে দেখছেন, ‘আমি জাতীয় দলের জার্সিতে বিশ্বকাপে খেলতে চাই। চীনের ক্লাব ছাড়ার ওপর এটা অনেকটাই নির্ভর করছে। চীনে খেলতে থাকলে হয়তো আর্জেন্টিনার জার্সিকে মিস করবো। ভাবতে গেলেই মাথাটা গুলিয়ে আসে। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবি বোকায় ফিরে যাব, অন্য দিন আবার মনে হয়, না। মাথাটা তালগোল পাকিয়ে যায়। যদি আমি আর্জেন্টিনায় ফিরে যাই, তাহলে জাতীয় দলের অনেক সুযোগকেই কাজে লাগাতে পারবো। ’
গত বছরের ডিসেম্বরে তেভেজ পাড়ি জমান চীনে। বড় অঙ্কের টাকার লোভেই নাম লেখান চীনা ক্লাব সাংহাইয়ে। আর্জেন্টাইন তারকা এই ফরোয়ার্ড সপ্তাহে ৬ লাখ ১৫ হাজার পাউন্ড আয় করেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলারদের একজন তেভেজ।
শৈশবের ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে নিজের ইচ্ছেতেই ফিরেছিলেন তেভেজ। আর্জেন্টিনার এই তারকা ফরোয়ার্ড জুভেন্টাসকে বিদায় জানিয়ে ফেরেন তার শৈশবের ক্লাবে। পরে বোকাকে বিদায় জানিয়ে তেভেজ যান চীনে। এবার কি চীন ছেড়ে আবারো বোকায় আসবেন তেভেজ-সময়ই বলে দেবে। কারণ যে খেলোয়াড়টি সপ্তাহে ৬ লাখ পাউন্ড বেতন পান, তার মাথায় জাতীয় দলের ইতিহাস ঐতিহ্যের ব্যাপারটি খুব একটা মাথায় থাকার কথা নয়। ফুটবল তো অর্থসর্বস্বই, যেখানে এখন টাকাই সব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ২০ জুলাই ২০১৭
এমআরপি