গত সোমবার (৩১ জুলাই) আদালতে গিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ আইকন এমন কথাই ব্যক্ত করেছেন বলে দাবি স্প্যানিশ রেডিও নেটওয়ার্ক ‘কাডেনা এসইআর’র। তাদের বরাত দিয়ে ‘গোল ডট কম’ বলছে, সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা প্রিমিয়ার লিগে সম্ভাব্য দ্বিতীয় অধ্যায়ের দরজাটা খুলে দিয়েছেন।
শুনানিতে অংশ নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে রোনালদো বলেন, ‘ইংল্যান্ডে আমি কখনোই এই সমস্যায় পড়িনি। এ কারণেই সেখানে ফিরে যেতে চাই। আমি সবসময় আমার ট্যাক্স পরিশোধ করেছি, সবসময়ই। ইংল্যান্ড ও স্পেনে সর্বদা ট্যাক্স দিয়ে আসছি। যেমনটি আপনি জানেন, আমি কোনো কিছু লুকাতে পারি না, আমার জন্য এ ধরনের কাজ করাটা হবে হাস্যকর। আমি উন্মুক্ত বই। ’
‘আপনার কোনো কিছু করতে হবে না। গুগলে আমার নামটা লিখবেন এবং ক্রিস্টিয়ানোর সবকিছু বেরিয়ে আসবে। যেমন ফোর্বস ম্যাগাজিন আমার সব আয় প্রকাশ করেছে। ’-যোগ করেন সিআর সেভেন।
দোষী প্রমাণিত হলে মোটা অঙ্কের জরিমানা ও কারাদণ্ডের আওতায় পড়তে পারেন রোনালদো। মাদ্রিদের প্রসিকিউটর অফিসের অভিযোগ ২০১০ সালের পর থেকে ছবিস্বত্ব বাবদ ১৪.৭ মিলিয়ন কর ফাঁকি দিয়েছেন তিনি।
অবশ্য বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। আদালতে গিয়ে সেটিরই পুনরাবৃত্তি করেছেন। কর ফাঁকির অভিযোগ ওঠার জেরেই এই সামারের শুরুর দিকে গুজব রটে রিয়াল ছাড়তে চান ৩২ বছর বয়সী রোনালদো। পর্তুগালের হয়ে কনফেডারেশনস কাপ খেলার সময়জুড়ে তা ছিল সবার মুখে মুখে। অবশ্য পড়ে আর তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। আদালতে বিষয়টি আবার নতুনভাবে টেনে আনলেন চারবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
২০০৯ সালে ম্যানইউ অধ্যায়ের ইতি টেনে বার্নাব্যুতে পা রেখেছিলেন রোনালদো। রিয়ালের জার্সিতে নিজেকে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়। অদূর ভবিষ্যতে তাকে আবারো ইংলিশ লিগে দেখা যাবে কিনা তা সময়েই বলে দেবে! গত বছরের নভেম্বরে স্প্যানিশ জায়ান্টদের সঙ্গে পাঁচ বছরের নতুন চুক্তি করেছিলেন তিনি।
গত জুলাইয়ে এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেছিলেন, ‘গত বছর ক্লাবের হয়ে মেজর ট্রফিগুলো জেতাটা ছিল গ্রেট, অনেকটা ব্যক্তিগত ট্রফির মতো। এটি আবারো করতে পারাটা হবে সুখকর। আপনাকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, বছরের পর বছর। আমি সেটিই করে যাচ্ছি। ফুটবল আমার জীবন, এটা আমার আবেগ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ৫ আগস্ট, ২০১৭
এমআরএম