বিশ্ব ফুটবলের ব্যতিক্রমী খবর তুলে ধরে ক’দিন পর পরই আলোচনায় উঠে আসে বার্সাভিত্তিক স্পানিশ দৈনিক দিয়ারো গোল। এই সংবাদমাধ্যমটিই জানিয়েছে এমন চমকপ্রদ তথ্য।
বর্ষসেরা বানাতে ভোটাররা মিলে এবার ৪৫৯টি ভোট দিয়েছেন। তবে শুনলে অবাক লাগলেও এর মধ্যে ৩৪০ জনই তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা রোনালদোকে। যেখানে মেসি পেয়েছেন ৫৫ জনের সেরা পছন্দের ভোট। ১৫ জন বেছে নিয়েছেন নেইমারকে।
২৪ জনের সংক্ষিপ্ত ফুটবলারদের তালিকা থেকে নিজের পছন্দের তিনজনকে বেছে নিতে হয়। এক, দুই, তিন এভাবে সেরার ক্রম নির্ধারণ করেন ভোটাররা। যেখানে প্রতিজন তালিকায় থাকা সর্বোচ্চ তিন ফুটবলারদের ভোট দিতে পারেন। প্রথম পছন্দের ফুটবলারের জন্য পাঁচ পয়েন্ট, দ্বিতীয় জনের জন্য তিন পয়েন্ট ও তৃতীয় জনের জন্য এক পয়েন্ট।
পর্তুগিজ অধিনায়ক রোনালদোকে ৫৭ জন ভোটার দ্বিতীয় সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আর তৃতীয় সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ১৭ জন। সব মিলিয়ে রোনালদোর মোট পয়েন্ট হয়েছে ১৮৮৮। অন্যদিকে, মেসির মোট পয়েন্ট ৮২৩। রোনালদো ও মেসির মাঝে পয়েন্টে ব্যবধান ১০৬৫। এ তালিকায় সেরা তিনে ছিলেন নেইমার। নেইমারের মোট ২৯৮ পয়েন্ট।
দৈনিকটি বলেছে, বর্ষসেরা তারকা না হতে পেরে ক্ষুব্ধ হন মেসি। আর এই না হওয়ার পেছনে পাঁচজনকে দায়ী করেছেন বার্সা তারকা। এই পাঁচজন হলেন:
১। বার্সা সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তেমেউ
২। বার্সা সেক্রেটারি রবার্ট ফার্নান্দেজ
৩। বার্সার সাবেক কোচ লুইস এনরিকে
৪। মেসির বার্সা সতীর্থ আন্দ্রে গোমেজ এবং
৫। আরেক ক্লাব সতীর্থ পাকো আলকাসের
দৈনিকটি জানিয়েছে, মেসির মতে বার্সার সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তামেউ এবং ক্লাবের সেক্রেটারি রবার্ট ফার্নান্দেজ দু’জনই গত ১২ মাসে বার্সেলোনায় বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। ক্লাবের কাজেও তারা খুব একটা সক্রিয় ভূমিকা রাখেননি। বার্সার বহু সমর্থকের কাছেই বার্তেমেউ ঘৃণার পাত্র। আর গত আগস্টে নেইমারকে পিএসজির কাছে বিক্রি করে দিতে ক্লাবের সেক্রেটারি ফার্নান্দেজের বড় ভূমিকা আছে। যা বার্সার অনেক সমর্থকরাই মেনে নিতে পারেননি। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করা ফার্নান্দেজ গত মৌষুমে ভালো কোনো সাইনিং করাতেও ব্যর্থ হন। এগুলোর বাজে প্রভাবে তাই ভোটিংয়ের ক্ষেত্রেও মেসি পেছনে পড়ে গেছেন।
দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মেসির পেছনে পড়ার আরেকটি মূল কারণ বার্সার সাবেক কোচ লুইস এনরিকে। তিনটি সফল মৌসুম শেষে এনরিকে বার্সার চাকরি ছেড়ে দেন। শেষ মৌসুমে তিনি লা লিগা কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আসরে ভালো কিছু করতে পারেননি। এটাও মেসির ভোটিংয়ে পেছনে পড়ার করাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেসির পুরস্কার না পাওয়ার কারণ ক্লাব সতীর্থ আন্দ্রে গোমেজ আর পাকো আলকাসের। গত মৌসুমে ভ্যালেন্সিয়া থেকে আসা ৩০ বছর বয়সী আন্দ্রে গোমেজ ক্যাম্প ন্যুতে কোনো সফলতা দেখাতে পারেননি। পর্তুগিজ এই মিডফিল্ডার ৪৭ ম্যাচ খেলে গোল করেন তিনটি। আর স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলকাসের ২৮ ম্যাচে গোল করেছেন আটটি।
কিন্তু কেন ও ঠিক কি কি ইস্যুতে মেসি তার ক্লাবের এই পাঁচজনকে বেছে নিয়েছেন সেটা প্রকাশ করেনি বার্সাভিত্তিক স্পানিশ দৈনিক দিয়ারো গোল। বিশ্ব ফুটবলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে এই প্রতিবেদনের পর পরই। প্রতিবেদক তার লেখায় পরিষ্কার করে জানাননি কবে ও কোথায় মেসি এ ধরনের কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরপি