সোমবারই মস্কো পৌঁছেছেন লিওনেল মেসিরা। মস্কোয় এদিন মাইনাস এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অনুশীলনও করেন তারা।
সপ্তাহখানেক আগেই জঙ্গি সংগঠন আইএস ২০১৮ বিশ্বকাপে হামলার হুমকি দিয়েছিলো। মেসি ও নেইমারের ছবিও তারা ব্যবহার করেছিল হুমকিবার্তায়। আরও একটা পোস্টার ছিল আতঙ্কিত হওয়ার মতো। রাশিয়া বিশ্বকাপের লোগোর সামনে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এক জঙ্গির ছবি।
এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেন রাশিয়া ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা। জানা গেছে, বিশ্বকাপের মতোই নিরাপত্তার বলয় গড়ে তোলা হচ্ছে ১১ নভেম্বরের ম্যাচে।
প্রীতি ম্যাচে বিশ্বকাপের মতো নিরাপত্তা কেন? জবাবে রুশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদের যুক্তি, মেসি খেলছেন বলে এই ম্যাচটার গুরুত্ব একেবারেই আলাদা। তা ছাড়া এই সময় ক্লাব ফুটবলে বিরতি চলছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, বুন্দেসলিগায় সমস্ত খেলাই বন্ধ থাকবে। ফলে মেসিকে দেখতে প্রচুর বিদেশি দর্শকের মস্কো যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ রাশিয়া ফুটবল ফেডারেশন।
সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হুমকির পাশাপাশি রুশ কর্তারা চিন্তিত নিজেদের দেশের দর্শকদের নিয়েও। ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে অতীতে ফুটবল মাঠে ঝামেলার অভিযোগে রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে, তাদের। তৈরি করা হয়েছে বিশেষ তালিকা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বৈধ টিকিট থাকলেও অভিযুক্তদের কোনো অবস্থাতেই লুজনিকি স্টেডিয়ামে ১১ নভেম্বরের ম্যাচে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
এখানেই শেষ নয়। রাশিয়ার রেস্তোরায় অশান্তির অভিযোগে অতীতে গ্রেফতার হয়েছে যারা, তাদেরও স্টেডিয়ামে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১১ নভেম্বর রাশিয়ার বিপক্ষে খেলার তিন দিন পর ক্রাসেনোদারে নাইজেরিয়ার মুখোমুখি হবে দু’বারের বিশ্বকাপ জয়ী জর্জ সাম্পাওলির শিষ্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ০৭ নভেম্বর, ২০১৭
এমএমএস