গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা অপেক্ষায় থাকেন এ আসরের। তাদের সে অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে খুব দ্রুতই।
লুঝনিকি স্টেডিয়াম শুধু রাশিয়ার নয় পুরো ইউরোপের অন্যতম বড় স্টেডিয়াম। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো শহরের সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওরুগের খামোভনিকি জেলায় অবস্থিত। এর দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৮১ হাজার ৬ জন। রাশিয়ার সুন্দরতম স্টেডিয়ামগুলোর এটি একটি। ২০১৮ বিশ্বকাপের এটি বৃহত্তম স্টেডিয়াম ও ইউরোপের অষ্টম বৃহত্তম স্টেডিয়াম হিসাবে স্বীকৃত।
১৯৫৫ সালে স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৫৬ সালের ৩১ জুলাই এটি উদ্বোধন করা হয়। এটি রাশিয়ার জাতীয় স্টেডিয়ামও বটে। রাশিয়ার সকল গুরুত্বপূর্ণ খেলা এ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। রাশিয়া বিশ্বকাপের অংশ হিসাবে স্টেডিয়ামটি পুনর্নির্মিত ও সংস্কার করা হয়। স্টেডিয়ামটির ঐতিহাসিক স্থাপত্য মূল্যের কারণে এর মূল কাঠামোটি অক্ষত রাখা হয়। ২০১৩ সালে শুরু হয়ে ২০১৭ সালে শেষ হওয়া স্টেডিয়ামটির পুনর্নির্মান ও সংস্কারে ব্যয় হয় ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো।
রাশিয়া বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান ও ম্যাচ এ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ফিফা নির্বাহী কমিটির বৈঠকে উদ্বোধনী ও সমাপনী ভেন্যু হিসাবে এই স্টেডিয়ামটি নিশ্চিত করা হয়।
রাশিয়ার ১১টি শহরের ১২টি স্টেডিয়ামে ৩২ টি দেশের ৬৪টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। লুঝনিকি স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ও সমাপনী খেলা ছাড়া আরও ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। স্টেডিয়ামটির পূর্ব নাম ছিল সেন্ট্রাল লেনিন স্টেডিয়াম। ১৯৯২ সালের পূর্ব পর্যন্ত এটি এ নামেই পরিচিত ছিল। মূলত এটি ছিল অলিম্পিক কমপ্লেক্সের অংশ। ১৯৮০ সালের অলিম্পিক গেমসের প্রধান স্টেডিয়াম ছিল এটি। অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠান এখানেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
মাইকেল জ্যাকসন, দ্য রোলিং স্টোনস, ম্যাডোনা, মেটালিকা, ইউ ২, রেড হট চিলি মিরারের মতো শিল্পীদের কনসার্টের অন্যতম স্থান হিসাবে কাজ করছে লুঝনিকি। ১৯৮৯ সালের আগস্টে মস্কো মিউজিক শান্তি উৎসবও এখানে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বের তাবৎ ফুটবলপ্রেমীদের দৃষ্টি এখন লুঝনিকির দিকে। আগামি ১৪ জুন রাশিয়া ও সৌদি আরবের মধ্যকার খেলা দিয়ে শুরু হবে এবারের বিশ্বকাপ। তাই আবারও ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছে রাশিয়ার লুঝনিকি জাতীয় স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, ২৫ এপ্রিল, ২০১৮
এমআই/এইচএল/এমএমএস