ওজিলের বাগদত্তাও তার মতোই তুর্কি বংশোদ্ভুত। পেশায় মডেল ও অভিনেত্রী গুলসে অবশ্য সুইডেনেরও নাগরিক।
তুরস্কে ওজিলের মতোই ব্যাপক জনপ্রিয় গুলসে। তাদের বিয়ে নিয়ে তুরস্কে চলছে ব্যাপক আলোচনা আর উৎসবের আমেজ। এই দু’জনের সঙ্গে আবার এরদোগানের দারুণ সম্পর্ক। এইতো গত সপ্তাহেই এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার হাতে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র তুলে দেন ওজিল ও গুলসে। এরদোগানও বিয়েতে উপস্থিত হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ার পাশাপাশি তাদের আশীর্বাদ করেন।
গত বছর জার্মান জাতীয় দল ও জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায় তার উপর চাপানো আর বর্ণবাদী সমালোচনার কারণে ভীষণ অভিমানে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকেই অবসর নেন ওজিল।
তার্কিশ বংশোদ্ভুত ওজিল বিশ্বকাপ শুরুর আগে মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তাদের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে। সেটাকে ‘রাজনৈতিক সাক্ষাৎ’ আখ্যা দিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয় ওজিলের বিরুদ্ধে। তার মতে, ওই ঘটনার পর তাকে ‘বর্ণবাদ’ আর ‘অসম্মানজনক’ আচরণের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রেইনহার্ড গ্রিন্দেলকে সরাসরি উদ্দেশ্য করে ওজিল লিখেছেন, ‘যাদের জাতিগত বৈষম্যমূলক অতীত রয়েছে তাদের হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল ফেডারেশন, তাদের কাছে দ্বৈত-পরিচয়ের ফুটবলারদের দেখভালের এতো বিশাল দায়িত্ব অর্পণ করা ঠিক নয়। তাদের আচরণ তারা যাদের প্রতিনিধিত্ব করে তাদের প্রতিফলন করে না। গ্রিন্দেল আর তার সমর্থকদের চোখে, আমি যখন জয়ী হই তখন জার্মান আর যখন হেরে যাই তখন আমি শরণার্থী’।
এরপরই ওজিল লিখেছেন, ‘যখন আমি বৈষম্যবাদ আর অসম্মানিত বোধ করি তখনই ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী মাথায় রেখে জার্মানির হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি জার্মানির জার্সি অনেক গর্ব আর উত্তেজনা নিয়ে গায়ে চড়িয়েছি। কিন্তু এখন আর চাই না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস