বুধবার (১৭ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ভঙ্গুর মিনার্ভার মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী। আগেরবার ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি এবার লিগে ৯ম স্থানে আছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মিনার্ভা। খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই মিনার্ভার মাহমুদ আল আমনার জোরালো শট ফিরিয়ে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। এর ১০ মিনিট পর আমনারই বাড়িয়ে দেওয়া ক্রসে শট নিয়েছিলেন স্যামুয়েল লাল মুয়ানপুইয়া। কিন্তু অল্পের জন্য বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
খেলার ১৫তম ম্নিনিটে প্রথম গোল হজম করে আবাহনী। তবে তাতে দলটির রক্ষণই দায়ী। মাকান উইংলের ক্রস থামানোর মতো রক্ষণে কেউ উপস্থিত না থাকায় অনেকটা ফাঁকায় থাকা আমনা প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন। ২০তম মিনিটেই অবশ্য গোল শোধ করে দেয় আবাহনী। কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের বাড়ানো বলে দুর্দান্ত এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন নাবীব নেওয়াজ জীবন।
গোল শোধ করেই নিজেদের গুছিয়ে নেয় আবাহনী। এগিয়েই যেতে পারত ২১তম মিনিটেই। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও মিনার্ভা গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত হন আবাহনীর সানডে চিজোবা। এরপর প্রচণ্ড গরমের কারণে খেলা ৪০ মিনিট বন্ধ রাখা হয়।
বিরতি শেষে খেলা শুরু হলে মিনার্ভাকে এগিয়ে দেন বদলি খেলোয়াড় গোপালান ভানিয়াভিত্তু। এখানেও আবাহনীর দুর্বল রক্ষণের সুযোগ কাজে লাগায় মিনার্ভা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের সমতায় ফেরে আবাহনী। ওয়ালী ফয়াসালের কর্নার কিক বাক খেয়ে ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে দ্রুতগতিতে তা জালে পাঠিয়ে দেন আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিজোবা। বাকি সময় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালিয়েও গোলের দেখা পায়নি দু’দল।
এই জয়ে ২ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট হলো ৪ আর মিনার্ভার পয়েন্ট ২।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এমএইচএম