ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

শিরোপা জিতল বগুড়ার পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
শিরোপা জিতল বগুড়ার পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ ‘ক্লিয়ার মেন বাংলাদেশ আন্ডার সেভেনটিন চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর এবারের আসরের বিজয়ী দল বগুড়ার ‘পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ'

ঢাকার ‘সুতি ভি.এম পাইলট মডেল হাই স্কুল’কে হারিয়ে ‘ক্লিয়ার মেন বাংলাদেশ আন্ডার সেভেনটিন চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর এবারের আসরের শিরোপা জিতে নিল বগুড়ার ‘পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ’। 

ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে হয়ে যাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতার এই আসরের ফাইনালে ‘পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয়।

ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

চলছিল একের পর এক পাল্টা আক্রমণ। তবে, প্রথমার্ধে ‘পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ একটি গোল করে। দ্বিতীয়র্ধে ‘সুতি ভি.এম পাইলট মডেল হাই স্কুল’ এক গোল করে সমতা ফেরায়। কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মিলল টাইব্রেকারে। এলো দুর্দান্ত সব পেনাল্টি শট। একে একে ৬টি গোল করে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিল বগুড়ার পুলিশ ̄লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বল পুরস্কার পেয়েছেন সুতি ভি.এম পাইলট মডেল হাই স্কুলের মো. সাগর এবং পুরো টুর্নামেন্টে সর্বাধিক গোল করে গোল্ডেন বুট পুরস্কার পেয়েছেন একই দলের মারুফ আহমেদ। অন্যদিকে সেরা গোলকিপার হিসেবে গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার পান পুলিশ ̄লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ-এর ফারহান শাহরিয়ার।

পুরো খেলায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং নাফীস আনোয়ার, মার্কেটিং ডিরেক্টর, বিউটি অ্যান্ড পারসোনাল কেয়ার, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড।

ফুটবলের জনপ্রিয়তাকে আরো বাড়িয়ে প্রতিভাবান ফুটবলারদেরকে লাইম লাইটে নিয়ে আসা এবং স্কুল ফুটবল টিমের নাম জাতীয় পর্যায়ে উজ্জ্বল করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। আর তাই গত বছরের ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ২৭২টিরও বেশি স্কুল ফুটবল টিমগুলোর অংশগ্রহণে এবছর ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল এর কার্যক্রম । ৮টি ডিভিশনে ফুটবল লড়াইয়ের পর ফাইনালে উঠেছিল রাজশাহী ডিভিশন থেকে ‘পুলিশ ̄লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ এবং ঢাকা ডিভিশন থেকে ‘সুতি ভি.এম পাইলট মডেল হাই স্কুল’।  

এই টুর্নামেন্টের সহযোগিতায় ছিল বাফুফে। পুরো আয়োজনকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে ক্লিয়ার মেন-এর সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে টেকনো এবং কিট পার্টনার হিসেবে সেইলর।  

বিজয়ী দলের জন্য পুরস্কারের পাশাপাশি ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধারও। সম্পূর্ণ টুর্নামেন্ট থেকে বাছাইকৃত ৩৬ ফুটবলারকে দেশি ও বিদেশি কোচিং স্টাফের অধীনে বিকেএসপিতে দেওয়া হবে ৩ সপ্তাহের ট্রেনিং। এছাড়াও সেরা ৬ ফুটবলারকে বিখ্যাত ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে এই ইভেন্টে ক্লিয়ার মেন-এর অন্যতম সহযোগী ‘টেকনো’। সেখানে ফুটবলাররা ৭ দিন অবস্থানের পাশাপাশি একাডেমি
কোচের ট্রেনিং সেশনেও অংশগ্রহণ করবে।  

এছাড়া সেরা ৬ খেলোয়াড় ম্যানচেস্টার সিটির হোম গ্রাউন্ড ইত্তেহাদ স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ উপভোগ করার সুবর্ণ সুযোগ। দেশের তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে বের করে দেশের ফুটবলকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে  আগামীতেও এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।