বেশ কয়েকমাস ধরে বর্ণবাদ পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে ইউরোপের ফুটবলে। সেই ধারাবাহিকতায় বালোতেল্লির ঘাড়েও পড়লো কোপটা।
কিন্তু ৫০ মিনিটে উল্টো গোল হজম করে বসে ব্রেসিয়া। সমতায় ফেরার জন্য আক্রমণের ধার বাড়া তারা। ৫৪ মিনিটে কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বল দখলের চেষ্টা করছিলেন বালোতেল্লি। এমন সময় গ্যালারি থেকে সুপার মারিওকে উদ্দেশ্য করে ‘বানর, বানর’ বলে বর্ণবাদী চিৎকার দিতে থাকে স্বাগতিক হালাস ভেরোনার দর্শকরা। ব্যাপারটা মোটেও পছন্দ হয়নি তার। হঠাৎ বল হাতে নিয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে কিক নেন। প্রতিবাদ জানাতে খেলা ছেড়ে ওঠে যাওয়ার জন্য মনস্থিরও করেন।
বালোতেল্লিকে থামান সতীর্থ ও প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা। দর্শক যতোই বর্ণবাদী আচরণ করছিল ততোই তাকে বুকে জড়িয়ে নিচ্ছিলেন খেলোয়াড়রা। এক সময় রাগ পড়ে গেলে পুনরায় খেলা শুরু করেন তিনি। তবে হঠাৎ এমন আচরণের জন্য রেফারি হলুদ কার্ড দেখান বালোতেল্লিকে।
তবে অনবদ্য এক গোল করেই বর্ণবাদের জবাব দেন সুপার মারিও। ৮৫ মিনিটে তার দূরপাল্লার বুলেট গতির শট ঝাঁপ দিয়েও রুখতে পারেনি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। অবশ্য তাতেও জয় পায়নি ব্রেসিয়া। বালোতেল্লির গোলের আগেই দুই গোল হজম করে বসে তারা।
ম্যাচ শেষে বালোতেল্লি তার যন্ত্রণাটা উগরে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ইন্সটাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘যে সব ‘লোক’ আমাকে বানর বানর বলে চিৎকার করছিল তাদের জন্য লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা। ’
কেবল এসব লিখে ক্ষান্ত দেননি ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের সাবেক ফরোয়ার্ড। যারা বর্ণবাদী আচরণ করছিল তাদের একটি ভিডিও পোস্টও করেছেন তিনি ইন্সটাগ্রামে।
ক্ষোভ থেকে বালোতেল্লি আরো লিখেন, ‘তোমার সন্তান, স্ত্রী, আত্মীয়, পিতামাতা, বন্ধু এবং পরিচিতদের সামনে… লজ্জা। ’
সেই সঙ্গে যারা তাকে স্বান্ত্বনা দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদও দিয়েছেন বালোতেল্লি, ‘আমার সতীর্থ এবং যারা মাঠে আমাকে সমর্থন ও সংহতি জানিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
ইউবি