রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের ডাক উপক্ষা করে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না ভিনিসিয়াস। স্প্যানিশ জায়ান্টদের ঘরে পা রাখার পর থেকেই পাহাড়সমান চাপ সামলাতে হয়েছে তাকে।
মূলত নেইমারের দেখানো পথেই ইউরোপে এসেছেন ভিনিসিয়াস। এমনকি প্রথম ডাকটা এসেছিলেন নেইমারের সাবেক ক্লাব বার্সা থেকেই। কিন্তু ১৯ বছর বয়সী তারকার চোখে, রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমানোই তার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’কে ভিনিসিয়াস বলেন, ‘আমার কাছে মাদ্রিদ ও বার্সা দুই ক্লাব থেকেই প্রস্তাব এসেছিল। আমার বাবা বললেন, সিদ্ধান্ত আমাকেই নিতে হবে এবং অবশ্যই হৃদয়ের ডাক অনুসরণ করতে হবে। ’
‘এটা ছিল অসাধারণ। ব্রাজিলে এমন কিছু ভাবাই যায় না, এটা ছিল বিশেষ দিন। আমি উপস্থাপনের দিন খুব নার্ভাস ছিলাম কারণ আমাকে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতে হবে এবং আমি তখনও এই ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। তবে আমি খুব খুশি ছিলাম। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন ছিল। ’
রিয়ালের হয়ে লা লিগায় নিজের প্রথম মৌসুমে ১৮ ম্যাচ খেলার পাশাপাশি কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৩ ম্যাচে খেলার সুযোগ পান ভিনিসিয়াস। প্রথম মৌসুমে ৪ গোল করার পর ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়েও ডাক পেয়ে যান তিনি। এই তরুণ উইঙ্গার স্বীকার করেছেন, রিয়ালে এসে শুরুতে মানিয়ে নিতে তার বেশ অসুবিধা হয়েছে। তবে স্বদেশী দুই ফুটবল তারকা মার্সেলো ও কাসেমিরোর সহায়তায় সেই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন তিনি।
নতুন মৌসুমে জিনেদিন জিদানের দলের হয়ে ১০ ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন ভিনিসিয়াস। সেপ্টেম্বরে ওসাসুনার বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা ম্যাচে একটি গোলও করেছিলেন তিনি। জিদানের অধীনে আরও বেশি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি রিয়ালে নিজের ক্যারিয়ার শেষ করার স্বপ্নও দেখছেন এই সেলেকাও তারকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এমএইচএম