আট বছর পর মঙ্গলবারের এক সকালে সব হিসেবে গেলো উল্টে। গ্লাভসজোড়া হাতে আত্মবিশ্বাসী পায়ে চোক দাঁড়ালেন গেঙ্কের গোলপোস্টের নিচে।
তার আগ পযর্ন্ত বেশ হাসিখুশি সময় কাটিয়েছেন গেঙ্কের এই তরুণ গোলরক্ষক। যার ডাকনাম ‘কুকি’। ‘আমি সাধারণত হাসিখুশি মুডে থাকতে পছন্দ করি’, গেতান চোক তাই বলেন সবসময়।
কঠিন পরিস্থিতি পাড়ি দেওয়া অনেক বিখ্যাত ফুটবলার দেখেছে বিশ্ব। গেতান চোকের গল্পটা তেমন অসামান্য নয় এবং তিনি এখনও অসামান্যদের কাতারেও নাম লেখাতে পারেননি। চ্যাম্পিয়নস লিগে মাঠে নেমে কোনো রেকর্ডও গড়েননি কুকি। তবে তার গল্পটা স্বপ্ন পূরণের। আট বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নিয়ে ‘ই’ গ্রুপে পড়েছে গেঙ্ক। যেখানে বেলজিয়াম ক্লাবটির গ্রুপ সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে লিভারপুল, নাপোলি ও রেড বুল সালজবার্গকে।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে গেঙ্ক। এবারও গোলপোস্টের নিচে দেখা যাবে কুকিকে। যিনি কিনা দুই দিন আগে নিজের ২১তম জন্মদিন পালন করেছেন।
চলতি মৌসুমে নাটকীয়ভাবে পাল্টে যায় কুকি’র ভাগ্য। গেঙ্কের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক ড্যানি ভুকুভিচ হঠাৎ করে গোড়ালির চোটে পড়েন। যিনি কিনা গত মৌসুমে ঘরোয়া শিরোপা জিতিয়েছেন গেঙ্ককে। ড্যানিকে হারানোর পরপরই ডাক পড়ে চোকের। এর আগে কুকি ধারে খেলছিলেন বেলজিয়ামে দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব লোমেলে।
সুযোগটা হাতছাড়া করেননি কুকি। গেঙ্কের ডাক পেয়ে দ্রুত চলে আসেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে হঠাৎ সুযোগ পাওয়াটা যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না তার। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কুকি বলেন, ‘আমি খুব বিষ্মিত ছিলাম। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
ইউবি