চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বশেষ আসরের শিরোপা জেতায় ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে লিভারপুল। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে যাবে লিভারপুল।
২০১৮ সালে ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’র এক অনুসন্ধানে হোটেল ‘মার্সা মালাস কেম্পিনস্কি’র কিছু গোপন সত্য বের হয়ে আসে। অনুসন্ধানে জানা যায়, হোটেলটিতে যেসব অভিবাসী কাজ করেন তাদের প্রাপ্য বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না। আর তাদের কর্মঘণ্টাও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি, যা শ্রম আইনের পরিপন্থী।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, হোটেলটিতে কর্মরত নিরাপত্তা প্রহরীদের ৪৫ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১২ ঘণ্টা করে দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিনিময়ে তাদের প্রতিদিন ৮ পাউন্ড করে বেতন দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ।
‘দ্য অ্যাথলেটিক’র এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হোটেলটিতে অবস্থান না করার সিদ্ধান্ত এরইমধ্যে ফিফা এবং কাতারের কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে লিভারপুল। ইংলিশ জায়ান্টদের পক্ষ থেকে কাতারের মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত একটি হোটেল বেছে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে, যেখানে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত সমস্যা নেই।
অভিবাসী কর্মীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে এরইমধ্যে কাতারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। বিশেষ করে বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্মানাধীন বিভিন্ন অবকাঠামোতে যেসব অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে কাতার সরকারের বিরুদ্ধে। এবার লিভারপুলের সিদ্ধান্ত বিষয়টিকে ভিন্ন মাত্রা দিল।
কাতারের ট্যুরিজম বিভাগের অধিকাংশই দেশটির সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কারণ, সেখানকার অধিকাংশ হোটেল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্পোরেশনের অধীনে চলে। কেম্পিনস্কিও বিদেশি মালিকানাধীন হোটেল।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এমএইচএম