ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

ফুটবল

সুস্থ হয়ে উঠছেন মালদিনি ও ছেলে দানিয়েল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:০১, মার্চ ২৩, ২০২০
সুস্থ হয়ে উঠছেন মালদিনি ও ছেলে দানিয়েল ইতালি ও এসি মিলানের কিংবদন্তি ফুটবলার পাওলো মালদিনি ও তার ছেলে

ইতালি ও এসি মিলানের কিংবদন্তি ফুটবলার পাওলো মালদিনির দেহে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হওয়ার খবর আগেই প্রকাশ পেয়েছে। তার সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ বছর বয়সী সন্তান দানিয়েলও। বর্তমানে এসি মিলানের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনরত মালদিনি ও তার সন্তান দু’জনেই স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে আছেন। তবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে তারা এমনটি জানিয়েছে এসি মিলান কর্তৃপক্ষ।

রোববার (২৩ মার্চ) এসি মিলান জানায়, মালদিনি ও দানিয়েল অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ক্লাবের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পাওলো মালদিনি সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন।

এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, তা তার মধ্যে দেখা যায়। টেস্টে তার পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। একই অবস্থা তার ছেলে দানিয়েলেরও। দু’জনেই অবশ্য এখন ভালো আছেন। স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে কাটিয়ে ফেলেছেন দু’সপ্তাহ। এই সময় কারও সংস্পর্শেও আসেননি তারা। পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য যত দিন প্রয়োজন, তত দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন দু’জনে। ’

গত দুই সপ্তাহ ধরেই কিংবদন্তি ডিফেন্ডার ও তার সন্তান দুজনেই আইসোলেশনে ছিলেন। কিন্তু চলতি সপ্তাহে তাদের করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। আপাতত ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের কোয়ারেন্টিনেই থাকতে হবে।

মিলানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে রাইট উইঙ্গার হিসেবে খেলেন দানিয়েল এবং এই মৌসুমের শুরুর দিকে মূল দলের হয়েও অভিষেক হয়েছে তার।

করোনা মহামারীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়া দেশের মধ্যে ইতালি অন্যতম। এরইমধ্যে দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ইতালিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৪৭৬ জনের। নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৫৬০ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৫৯ হাজার ১৩৮ জন।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে বিশ্বের ১৮৯ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। এতে মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৪৩৩ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় ৯৭ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগী।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।