হঠাৎ যেন সব হিসেব-নিকেষ উলট-পালট হয়ে গেছে লিভারপুলের। টানা ২১ বছর ধরে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে এভারটনের বিপক্ষে মার্সিসাইড ডার্বিতে না হারার কৃতিত্বটা আর থাকলো না অলরেডদের।
এবার টফিসদের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের শিরোপা দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে যাওয়া তো বটে, শেষ চারে থাকাটাই এখন অনিশ্চিত হয়ে গেছে ইউর্গেন ক্লপের শিষ্যদের। ২৫ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ছয়ে আছে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
যেখানে শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে তাদের পার্থক্য ১৬ পয়েন্ট। তার মধ্যে এক ম্যাচ কম খেলেছে সিটিজেনরা। জিতলেও অবশ্য লিভারপুলের সমান পয়েন্ট নিয়ে সাতে এভারটন। ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর এবারই প্রথম তারা অ্যানফিল্ডে গিয়ে জিতলো। সেই সঙ্গে ২০১০ সালের পর প্রথমবার মার্সিসাইড ডার্বি জিতলো টফিসরা। আর প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে টানা ৪ ম্যাচে হারলো অলরেডরা। তার মধ্যে ১৯২৩ সালের পর প্রথমবারের মতো ঘরের মাটিতে ৪ ম্যাচে পরাজয় বরণ করলো লিভারপুল।
পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেও হারতে হয়েছে ক্লপের শিষ্যদের। ম্যাচ শুরুর তৃতীয় মিনিটে রিচার্লিসনের গোলে এগিয়ে যায় এভারটন। হামেস রদ্রিগেজের দুর্দান্ত পাস থেকে স্বদেশি গোলরক্ষক অ্যালিসনকে পরাস্ত করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। সেই গোল শোধের জন্য আক্রমণের পসরা সাজায় অলরেডরা।
কিন্তু গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড ও ডিফেন্ডার মাইকেল কিন যেন এদিন জ্বলে ওঠার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। দু’জনের দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স সুবিধা করতে দেয়নি সালাহ-মানে-ফিরমিনোদের। তার মধ্যে চোটে পড়ে প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়তে হয় ক্লপের নির্ভরযোগ্য শিষ্য জর্ডান হ্যান্ডারসনকে।
উল্টো শুরুর পর শেষ মুহূর্তে আবারও গোল হজম করে বসে লিভারপুল। ৮৩তম মিনিটে এভারটনের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বদলি হিসেবে নামা গিলফি সিগুরোসন। বাকি সময় এই ব্যবধান ধরে রেখে লিভারপুলকে তাদেরই মাঠে হার উপহার দেয় এভারটন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
ইউবি