ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রাজশাহীতে ৬৪ হাজার ২২২ শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
রাজশাহীতে ৬৪ হাজার ২২২ শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’

রাজশাহী: রাজশাহীতে ৬৪ হাজার ২২২ জনকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

 

এ ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ২৭৪ জন ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ৯৪৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে।  

রাজশাহী মহানগরীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আয়োজনে অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ দুপুরে নগরভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এএম আঞ্জুমান আরা বেগম।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব মো. মশিউর রহমান।  

বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, শিশুদের রাতকানা, হাম, দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া, মারাত্মক অপুষ্টি থেকে রক্ষা করতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করছে সরকার।  

এ দিবসে ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ সবলভাবে বেড়ে উঠতে সরকারের এ কার্যক্রম সফল করতে হবে। কোনো শিশু যেন এ কার্যক্রমের আওতায় বহির্ভুত না থাকে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।  

তিনি বলেন, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসেবায় সারাদেশে রোল মডেল রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এই অর্জন আমরা আগামীতেও ধরে রাখতে চাই।

সভায় জানানো হয়, জাতীয় ভিটামিন ‘‌এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নে ৩৮৪টি কেন্দ্রে ৭৬৮জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন করে স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্র সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা, মাইকিং, মসজিদে জুমার নামাজের আগে মসজিদের ইমাম/খতিবের মাধ্যমে মুসল্লিদের অবহিতকরণ এবং অন্যান্য উপাসনালনের মাধ্যমেও একই বার্তা পাঠানো হচ্ছে।

সভায় বক্তব্য দেন সমাজসেবা অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক হাসিনা মমতাজ, বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল হাসান, পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পরিচালক খন্দকার আরিফুজ্জামান, রাসিকের ভ্যাটেরিনারী সার্জন ডা. ফরাদ উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।