কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মিতু নামে (১৮ মাস) একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) ভোরে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত শিশুটির বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায়।
এদিকে, মাঘের শুরুতেই শৈতপ্রবাহে স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দিন-রাত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডার মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে শীতজনিত রোগ।
প্রতিদিন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে।
শৈতপ্রবাহের কারণে কাজে বের হতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপচরের হত দরিদ্র মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১শ’ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ২শ’ রোগী। এছাড়াও প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৩ শতাধিক রোগী। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।
শয্যা সংকুলান না হওয়ায় অনেক রোগীর ঠাই হয়েছে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায়। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৬ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন রোগী। অন্যদিকে শিশু ওয়ার্ডে ১১ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ জন শিশু।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগীর অবিভাবকরা জানান, ঠাণ্ডা ও শীতের কারণে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হওয়ায় তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) নজরুল ইসলাম বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৫