ঢাকা: বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির উন্নত চিকিৎসা দেশে থাকলে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমবে। এছাড়া চিকিৎসকদের উন্নতমানের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং গবেষণাই পারে সফলতা আনতে।
শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে জার্মানের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এসব কথা বলেন। এদিন ‘বার্ন, প্লাস্টিক ও রিকনস্ট্রাকশান সার্জারি’ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দলটি বিএসএমএমইউ’র শিক্ষক ও চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, উন্নত বিশ্বে এ চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির অনেক জটিল অপারেশন এখন সহজ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এসব রোগীদের স্বাভাবিক জীবন দিতে পেরেছে।
জার্মানির বিজিইউ হাসপাতালের প্লাস্টিক-বার্ন-হ্যান্ড সার্জারি বিশেষজ্ঞ সার্জন অধ্যাপক. ডা. হেনিজ-হার্বাট হোমান্ন বলেন, একটা সময় যেটা অসম্ভব ছিল বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান সেটা সম্ভব করেছে। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে গবেষণা। এসব গবেষণা-প্রশিক্ষণের কারণে অনেক রোগী স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই লেকচার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।
সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডা. হাবিবে মিল্লাত এমপি, বিএসএমএমইউ’র কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান।
‘লস এন্ড রিসটোরেশন অফ মটর ফানকশন’ বিষয়ে লেকচার প্রদান করেন জার্মানির বিজিইউ হাসপাতালের প্লাস্টিক-বার্ন-হ্যান্ড সার্জারি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সার্জন অধ্যাপক ডা. হেনিজ-হার্বাট হোমান্ন, এবং ‘হ্যান্ড ফ্লাপস এন্ড এসথেটিক ব্রেস্ট এ্যাসাইম্মেট্রি’ বিষয়ে লেকচার প্রদান করেন ইন্টারপ্লাস্ট হাঙ্গেরি, ফাউন্ডার এন্ড বোর্ড মেম্বার ফর বাংলাদেশ, ডা. জিরেগ প্যাটাকি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৫
এডিএ/আরআই