ঢাকা: নেপালে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটির ২০ লাখ গর্ভবতী ও প্রসূতি নারী ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল, ইউএনএফপিএ।
বুধবার (০৬ মে) ইউএনএফপিএ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জনসংযোগ কর্মকর্তা রয় ওয়াদিয়া এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
এক হিসাবে দেখা যায়, গত ২৫ এপ্রিলের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর নেপালের ২০ লাখ প্রসূতি নারী ঝুঁকিতে রয়েছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২৬ হাজার গর্ভবতী নারী রয়েছেন, যাদের জরুরি প্রসব ও এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রয়োজন।
এছাড়াও আগামী মাস থেকে ২ হাজার ১০০ জন নারী ধাত্রী সংক্রান্ত জটিলতায় পড়বে বলে মনে করছে ইউএনএফপিএ। বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা ৪০ হাজার প্রসূতি নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
নেপালের কিশোরী, গর্ভবতী ও কর্মজীবী নারীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে ইউএনএফপিএ ও ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যানড প্যারেন্টহুড ফেডারেশন (আইপিপিএফ) যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল (এফপিএএন)। এরই মধ্যে মোবাইল টিমের মাধ্যমে নিরাপদ গর্ভপাতের প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক উপকরণ ও নারীদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করা হচ্ছে।
ভক্তপুর, কাভরি, লতিপুর, সিন্ধুপালচোক ও কাঠমান্ডুসহ ১০টি জেলায় এ মোবাইল টিমগুলো কাজ করছে।
নেপালে ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি গিলিয়া ভেলেজ বলেন, একটি দুর্যোগের পর গর্ভবতী ও জন্মদাত্রী মায়েরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং ঝুঁকিতে থাকেন।
আইপিপিএফ এর চিকিৎসা ও গর্ভপাত বিভাগের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ডা. অভিজিৎ বলেন, প্রথম দিন থেকেই আমরা কাজ করছি। এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেজে থাকা ১৬ জন নারীর গর্ভপাত করানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৫
এমএন/এএ