ঢাকা: আপনার যদি অনেক বন্ধু থাকে তাহলে আড্ডা দিন প্রাণ খুলে। আর যাদের বন্ধু, সহকর্মী কিংবা আড্ডা দেওয়ার মতো কোনো সঙ্গী নেই তারা জুটিয়ে নিন।
আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটির কলাম্বিয়া বিজনেস স্কুলের গবেষকরা বলছেন, প্রাণখোলা আড্ডা সুস্বাস্থ্যের সহায়ক। এতে মন থাকে প্রফুল্ল। সহজ হয় জীবনযাপন। যারা আড্ডা দিতে পছন্দ করেন না তারা শুধু আবেগতভাবে নয়, স্বাস্থ্যগতভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হন। দেহের ওজন, শক্তি কমে এবং লোপ পায় কর্মস্পৃহা।
কলাম্বিয়া বিজনেস স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক ও এ গবেষণার সহ-গবেষক মাইকেল স্লিপেইন বলেন, আপনার মনের কথা যদি চেপে রাখেন, তবে আপনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। সেই চ্যালেঞ্জ মোকবেলা করতে হবেন ক্লান্ত। ফলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পাবে, আপনি নিমজ্জিত হবেন হতাশায়।
তাই অহেতুক মনের কথা চেপে না রেখে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে আড্ডার ছলে প্রকাশ করাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেন তিনি।
যে গোপন বিষয় আপনাকে খুব বেশি চিন্তিত করে, সে বিষয়টি কাছের মানুষদের সঙ্গে শেয়ার করে বুদ্ধিদীপ্ত পরামর্শ ও উৎসাহ পেতে পারেন।
ওই গবেষণায় আরও দেখা যায়, মেয়েরা অজানা বা গোপন বিষয় শেয়ার করতে বেশি দেরি করতে চায় না। আর ছেলেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশি মেতে থাকে। তাই কোনও বার দেখা করে বন্ধুদের কথাগুলো বলতে অন্তত তিন ঘণ্টা সময় নেয়।
যদিও অর্ধেক পুরুষকে কোনো তথ্য দিয়ে সেটি সরবরাহ করতে বললে প্রথম মিনিটেই সেটি হয়ে যায়, আর নারীরা কম করে হলেও তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা নিজের কাছে রেখে দেয় তথ্য সরবরাহের আগে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৫
এএ