ঘুমাও সোনামনি, সকালে মিষ্টি পাবে। এটা করো, চকোলেট পাবে, ওটা করো না, আইসক্রিম পাবে, এটুকু ভাত খাও, বিস্কুট দেবো।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সুসান জেব মনে করেন, মেদমুক্ত শরীর গঠনে পারিবারিক কিছু মনোভাব পাল্টাতেই হবে। আর শিশুদের মিষ্টি দিয়ে মন ভোলানোর সহজ বিকল্প খুঁজতে হবে।
সানডে এক্সপ্রেস নামে একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রকে অধ্যাপক জেব বলছিলেন, ‘শিশুবেলা থেকে যদি সঠিক খাদ্যে অভ্যাস গড়ে তোলা না যায়, শিশুরা বাড়তি ওজন নিয়েই বেড়ে উঠবে, নয়তো বড় হয়ে হয়ে পড়বে মেদাক্রান্ত।
বাবা-মাকে বোঝানোই দায়, আজকের শুকনো পাতলা শিশুটিই কিন্তু একদিন মোটাসোটা, নাদুস-নুদুস হয়ে যাবে, তখন আর কিছু করার সামান্যই সুযোগ থাকবে।
![](files/Obisity_inner_872064535.jpg)
গেলো সপ্তায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মেদ সঙ্কটকে ধুমপানের সমান সঙ্কট বলেই মত দিয়েছেন, আর সেই বক্তব্যকে স্বাগত জানান এই অক্সফোর্ড শিক্ষক। সিগারেটের মতো চিনিযুক্ত খাবারেও বাড়তি কর বসানোর পক্ষে মত দেন তিনি।
ধূমপানের মতো চিনিযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার সঙ্গেও রয়েছে ক্যান্সারের সম্পর্ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ধারা চলতে থাকলে আগামী ২০ বছরে এই কারণে অতিরিক্ত ৭ লাখ ব্রিটিশ ক্যান্সার আক্রান্ত হবে।
তারা বলেন, মেদভুড়ি ও বাড়তি ওজন এখন যেনো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আর ধারণা করা হচ্ছে ২০৩৫ নাগাদ ব্রিটেনে প্রতি ১০ জনের মধ্যে চার জনই মেদাক্রান্ত হবে।
হিসেবগুলো বলছে, মেদভুড়ির কারণে সৃষ্ট ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাইপারটেনশন ধরনের রোগগুলোতে ব্রিটেনে প্রতিবছর স্বাস্থ্যখাতে ৭৫০ কোটি পাউন্ড বাড়তি খরচ হবে।
বাংলাদেশ সময় ১১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
এমএমকে