বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সচিবালয়ে দেশের সার্বিক ডায়রিয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
তবে ডায়রিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন।
সভায় জানানো হয়, এ বছর অন্য বছরের তুলনায় দেশে এখনও ডায়রিয়ার প্রকোপ কম। তবে ঢাকা বিভাগে ডায়রিয়া রোগীর হার বেশি।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নগরায়নের ফলে নদী বা জলাশয়ের পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে পানিবাহিত ডায়রিয়ার আশংকা বাড়ছে। অন্যদিকে উন্মুক্ত স্থানে খাবার গ্রহণও এই রোগের অন্যতম কারণ। এজন্য সাধারণ মানুষকে পানি ফুটিয়ে পানের জন্য এবং খাওয়ার আগে হাত ধোয়াসহ সব সতর্কতামূলক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।
এসময় তিনি তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদেরসহ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদারে এগিয়ে আসার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ডায়রিয়া প্রতিরোধে বিভিন্ন সেক্টরের সমন্বিত কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। বিশেষ করে পানি শোধনের জন্য আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে পানিবাহিত ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা যায়।
সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইসিডিডিআর,বি, সিটি করপোরেশন ও ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ১৭ মে, ২০১৮
এমএএম/এএ