ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

আগরতলায় শুরু হয়েছে চৈত্র মাসের বিশেষ হাট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৩
আগরতলায় শুরু হয়েছে চৈত্র মাসের বিশেষ হাট

আগরতলা (ত্রিপুরা, ভারত): ১৪৩০ বাংলা দরজায় কড়া নাড়ছে। ক্যালেন্ডার মেনে আর হাতে গোনা কয়দিন পর ১৪২৯ বাংলা বিদায় নেবে, আসবে বাংলা নতুন বছর।

অন্যান্য বারের মতো এবারও বছরের শেষ মাস চৈত্রের বিশেষ বিক্রির হাট শুরু হয়েছে রাজধানী আগরতলায়। বুধবার (৫ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে এই হাট।

জামা কাপড় থেকে শুরু করে গৃহস্থালি সামগ্রী বাসনপত্র, গৃহসজ্জা সামগ্রী এমনকি ঘর মোছার ফিনাইল, বাথরুম ক্লিনার, টুথপেস্ট, সাবান এসব খুঁটিনাটি জিনিসও রয়েছে বছর শেষের এই হাটে। এবছরও আগরতলা পৌর নিগম রাজধানীর শকুন্তলা রোড এবং আর এম এস এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বসার জায়গা করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়র দীপক মজুমদার ঘোষণা দিয়েছেন, মাত্র কয়েক দিনের জন্য বসে এই হাট। আর যারা এই হাটে ব্যবসা করেন এরা সকলেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, এইসব কথা চিন্তা করে আগরতলা পৌর নিগম এই সব ছোট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের কর সংগ্রহ করবে না।

এই হাটে বসা অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা সারা বছর ধরে চৈত্র বিক্রির অপেক্ষায় থাকেন। জয়া শীল নামে হাটে জামা কাপড় নিয়ে আসা এক নারী ব্যবসায়ী জানান, তিনি বাড়িতে বসে ব্যবসা করেন। শুধুমাত্র বছরের এই সময় দোকান নিয়ে আসেন। হাটের বিক্রি নিয়ে তার অভিমত, সবে শুরু হয়েছে তাই এখনো বিক্রি শুরু হয়নি তেমন ভাবে। তবে বিগত বছরগুলোতে মেলার শেষ দিনগুলোতে বিক্রি-বাট্টা ভালো হয়েছিল। এ বছরও তাই হবে বলে আশা করছেন তারা। পৌর নিগম থেকে তাদেরকে বিনামূল্যে এখানে ব্যবসা করতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় খুশি বলেও জানান তিনি।

শুধুমাত্র রাজধানী আগরতলার ব্যবসায়ীরাই নন, আগরতলার বাইরের বেশ কিছু জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা এই হাটে আসেন ব্যবসা করার জন্য। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী সূর্যমনিনগর থেকে এসেছেন এক ব্যবসায়ী তপন লোধ বলেন, হাটে বসা ব্যবসায়ীরা সামান্য লাভে সামগ্রীগুলো বিক্রি করেন। কারণ এখানে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসেন। সবাই যাতে চাহিদার জিনিসটা কিনে নিতে পারেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও বছর শেষে সব সামগ্রী শেষ করে দিতে চান তাই তারা ন্যূনতম লাভে বিক্রি করেন বলে জানান।

সবারই আশা এবারও বিক্রি ভালো হবে। সেই সঙ্গে তারা খুশি বিশেষ করে গত দুই বছর ধরে পৌর নিগম কোনো কর না নেওয়ায়। তবে এ বছর তাদের কপালে কিছুটা চিন্তার ভাজ ফেলে দিয়েছে বৃষ্টি শঙ্কা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমনকি আগরতলাতেও মাঝে মাঝে  হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে চৈত্র মাসেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আগরতলার পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জায়গা গুলোতেও এমন বিক্রির হাট বসে। কিছু কিছু মানুষ বছর ভর অপেক্ষা করে থাকেন কবে শুরু হবে চৈত্র মাসের হাট।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল, ২০২৩
এসসিএন/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।