ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ত্রিপুরায় বিএসএফের গুলিতে ভারতীয় যুবক নিহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৪
ত্রিপুরায় বিএসএফের গুলিতে ভারতীয় যুবক নিহত

আগরতলা (ত্রিপুরা): পাচারকারীদের ধরতে না পেরে নিরীহ গ্রামবাসীর মাথায় গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে। নিহত যুবকের ভাই বিএসএফের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন।

এ ঘটনা ঘটেছে ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন দুর্গাপুর এলাকায়। নিহত যুবকের নাম শহীদ মিয়া।  

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিএসএফ'র ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার্সের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার(৩ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর সীমান্তে যখন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা টহল দিচ্ছিল তখন কয়েকজন পাচারকারীকে পণ্য সামগ্রী পাচার করতে দেখে। কর্তব্যরত জওয়ানরা পাচারকারীদের বাধা দিতে গেলে প্রথমে পাচারকারীর দিক থেকে বিএসএফের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। এ পরিস্থিতিতে বিএসএফ জওয়ানরা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালালে শহীদ মিয়া ও কাবিল মিয়া নামে দুইজন পাচারকারী আহত হয়। পরবর্তী সময়ে শহীদ মিয়া মারা যায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিএসএফ জওয়ানও আহত হয়েছেন।  

নিহত সহিদ মিয়ার ভাই সহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন ঘটনার পর রাতেই দুজনকেই সোনামুড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। সেখানে শহীদ মিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসা শেষে কাবিল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলা জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।  
সহিদুল ইসলামের আরও অভিযোগ, তার ভাই পাচার বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত না, সে গাড়ি চালক ছিল। বিএসএফ পাচারকারীদের ধরতে না পেরে তার ভাইকে সামনে পেয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় তা দাবি করেন নিহতের ভাই ।  

নিহত যুবকের মাথায় গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার জেরে স্থানীয় দুর্গাপুর সীমান্ত এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন বিএসএফ এবং পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছেন। এর আগেও এ সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের ওপর গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে বিএসএফের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৪
এসসিএন/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।