আগরতলা(ত্রিপুরা): পশ্চিমবাংলার পর এবার উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা না দেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমতো গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে।
ভারতীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশ করা হয়েছে যে আগরতলার ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠান আইএলএস বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই বিষয়ের রোববার(১ডিসেম্বর) বাংলানিউজের তরফে বেসরকারি এই হাসপাতালের পরিচালন কমিটির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দেবাশীষ ধরকে জিজ্ঞাসা করার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি রাজধানী আগরতলার সরকারি গোবিন্দ বল্লভ পন্থ(জিবি) হাসপাতাল এবং ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে বাংলাদেশের বহু রোগী চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে থাকেন। এই বিষয়ে ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দপ্তরের এক আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে তিনি জানান, সাধারণত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার জন্য রোগীকে জাতীয় পরিচয় পত্র "আধার" কার্ড দেখাতে হয়। কিন্তু বহু রোগী দূর দূরান্ত থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়াই চলে আসেন হাসপাতালগুলিতে। চিকিৎসা পরিষেবার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির কথা বিবেচনা করে কোন ধরনের পরিচয় পত্র ছাড়াই তাদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। তাদের সঙ্গে বহু বাংলাদেশি নাগরিকও এভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। তিনি আরো জানান অপেক্ষাকৃত আর্থিক ভাবে দুর্বল অংশের বাংলাদেশি নাগরিকরা এইসব সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা পরিষেবার নিতে আসেন। অনেক সময় তাদের বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করার পরও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। এখনো অনেক বাংলাদেশি নাগরিক এভাবে চিকিৎসা পরিষেবা নিচ্ছেন। তাছাড়া সরকারি ভাবে তাদের কাছে বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা পরিষেবা না দেওয়ার কোনো নির্দেশিকা আসেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এবং বেশ কিছু সংগঠন ইতিমধ্যে দাবি তুলতে শুরু করেছে বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে ত্রিপুরা রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবাসহ অন্য সকল পরিষেবা থেকে যেন বঞ্চিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৪
এসসিএন/এমএম