ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বেসিস যেভাবে কাজ করছে এটা জাতির জন্য গৌরবের: স্পিকার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
বেসিস যেভাবে কাজ করছে এটা জাতির জন্য গৌরবের: স্পিকার 

ঢাকা: ‘ওয়েলকাম টু স্মার্টভার্স’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীতে শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ১৭ তম বেসিস সফট এক্সপো- ২০২৩।  

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বেসিস সফট এক্সপো ২০২৩ উদ্ভোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

 

প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন বলেন, আইসিটি সেক্টরে সাফল্যের জন্য অ্যাকাডেমিক, ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত দক্ষ এবং মেধাবী। এদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। এই সেক্টরের যাতে তারা আরও বেশি আগ্রহী হয় এবং তাদের মেধা এবং যোগ্যতাকে কাজে লাগায় সে বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে ঘোষণা দিয়েছেন সেখানে চারটি বিষয় স্মার্ট ইকনমি, স্মার্ট কমিউনিটি, স্মার্ট গভার্নেন্স এবং স্মার্ট সিটিজেন এই বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্মার্ট সিটিজেন গড়ে তোলার বিষয়ে কাজ করে যেতে হবে উল্লেখ করে ড. শিরীন শারমিন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট সিটিজেন এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা সব ধরনের বিষয়কে যদি আমরা আধুনিকায়ন করেও ফেলি, সেটাকে পরিচালনা করার সেই কর্মদক্ষতা সম্পন্ন মানব সম্পদের উন্নয়নও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তাই স্মার্ট সিটিজেন গড়ে তোলার বিষয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।

সংসদের অনেক কার্যক্রম এই সফটওয়্যার সেবার মাধ্যমে সহজ হয়েছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সহযোগিতায় সংসদে অনেকগুলো বিষয় আমরা সফটওয়্যার ইনক্লুড করেছি। যা আমাদের কার্যক্রমকে অনেক সহজ করেছে। ই-ফাইলসহ আরও অনেকগুলো ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদ ডিজিটাইজেশন করা যে উদ্যোগ সেখানে বেশি বেসিসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হচ্ছে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা এবং উত্তর। যেখানে সংসদ সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রীদের এবং প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন এবং তারা এসব প্রশ্নের উত্তর দেন। এই প্রশ্ন এবং উত্তরগুলোর যে হার্ডকপি জমা পড়ে তার সবকিছুই এখন একটা সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছে। এই কাজটি করতে বিভিন্ন প্রসেস করা হয়েছে। যা বেসিসের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।  

ড. শিরীন শারমিন বলেন, আজ থেকে ১০ বছর আগে ডিজিটাইজেশন মানুষের কাছে ছিল এক প্রকার স্বপ্ন। কিন্তু এখন তা বাস্তব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ডিজিটাল দেশের রূপান্তর করেছেন। বাংলাদেশের বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি। বর্তমানে গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সেবা। মাত্র ১৩ বছরের প্রযুক্তি শিল্পে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে এক দশমিক চার বিলিয়ন ডলার।  

১৭ বছরে বেসিস যেভাবে সংগঠিত হয়েছে সেটা জাতির জন্য গৌরবের বিষয় উল্লেখ করে ড. শিরীন শারমিন বলেন, আমি মনে করি যে স্টলগুলো এখানে দেওয়া হয়েছে তা থেকে তরুণ প্রজন্ম সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টের বর্তমান অবস্থা এবং আগামী দিনের সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারবে।  

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
ইএসএস/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।