ডিজিটাল যুগে ছবি ও ভিডিওর জগতে এআই ও ডিপফেইক প্রযুক্তি নতুন ধাঁধা তৈরি করেছে। প্রতিদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক ছবি ভেসে ওঠে, যেগুলো আসল নাকি কৃত্রিম—তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
ছবি জুম করুন
ছবিকে বড় করে দেখলে প্রায়ই অসঙ্গতি ধরা দেয়। মানুষের চোখ, ঠোঁট, চোয়াল, হাত বা আঙুলে অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে। মুখের চারপাশ ঝাপসা দেখা যায়। আবার ভিডিওতে ঠোঁটের নড়াচড়া ও শব্দের মিল না-ও থাকতে পারে। বিশেষ করে মুখ নড়াচড়া করলে দাঁতের অসংলগ্নতা সহজেই বোঝা যায়।
আবেগ-অনুভূতির সামঞ্জস্য খুঁজুন
মানুষের স্বাভাবিক হাসি, কান্না কিংবা উচ্ছ্বাস শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। কিন্তু ডিপফেইক বা ফেস-সোয়াপ সফটওয়্যার এ বিষয়গুলো পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলতে পারে না। ফলে আবেগ প্রকাশে অসামঞ্জস্য চোখে পড়তে পারে।
পুরো ছবিটি খেয়াল করুন
একক ছবি অনেক সময় বাস্তবের মতো মনে হলেও গ্রুপ ছবি বা জটিল দৃশ্যে এআই ভুল করে বসে। এতে হাত-পায়ের গরমিল, বাড়তি আঙুল কিংবা অদ্ভুত ভঙ্গি ধরা পড়তে পারে।
ব্যাকগ্রাউন্ড পর্যবেক্ষণ করুন
ছবির বিষয়বস্তু ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে চারপাশের দৃশ্য যদি মানানসই না হয়, তবে সেটি সন্দেহজনক। এআই-তৈরি অনেক ছবিতে এমন পটভূমি থাকে যার বাস্তব অস্তিত্ব নেই।
ছবির প্রেক্ষাপট যাচাই করুন
ছবিটি কেন তোলা হতে পারে বা কোথা থেকে এসেছে তা খুঁজে দেখা জরুরি। রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই সম্ভব। জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের ছবি হলে বিষয়টি যাচাই করা আরও সহজ হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআইয়ের ছবি যতই নিখুঁত মনে হোক না কেন, সচেতন চোখ অনেক সময়েই তার ভেতরের অসঙ্গতি ধরতে পারে। তাই ছবি দেখেই সিদ্ধান্ত না নিয়ে খতিয়ে দেখা উচিত।
এনডি/