ঢাকা: অবশেষে বাংলাদেশ তৃতীয় প্রজন্মের (থার্ড জেনারেশন-থ্রিজি) প্রযুক্তিতে প্রবেশ করছে। রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।
থ্রিজি চালু হলে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট-গতি বেড়ে যাবে বহুগুণ। ফলে এখন যে কাজটি মোবাইল ফোনে করতে বেশি সময় লাগে। তখন এটি বর্তমান সময়ের থেকে কম সময়ে করা যাবে। আর টেলিভিশন দেখা যাবে মোবাইল ফোনে। আর যিনি মোবাইল ফোনে কল করবেন, কথা বলার সময় তার ছবি ও অবস্থান জানা যাবে। জিপিএসের মাধ্যমে পথ নির্দেশনা পাওয়া, উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারসহ ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেওয়া সম্ভব।
সূত্র জানায়, সোমবার থেকে রাজধানীর টেলিটকের তিন হাজার রিটেইল পয়েন্ট এবং ৮টি বিশেষ গ্রাহকসেবাকেন্দ্র থেকে থ্রি জি’র সিম বিক্রি শুরু হবে। তাছাড়া যারা পুরনো সিম থ্রিজিতে রূপান্তর করার। গ্রাহক সেবা কেন্দ্র গিয়ে এটি করতে হবে।
আপাতত ৫টি টেলিভিশন চ্যানেল মোবাইল ফোনে দেখা যাবে। এগুলো হলো- বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভি, সময় টিভি, জিটিভি (গাজী টিভি), আরটিভি ও মাইটিভি।
অন্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকেও এর মধ্যে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান।
সূত্র মতে, আপাতত শুধু রাজধানী ও আশপাশের গ্রাহকরা থ্রিজি সুবিধা পাবেন। প্রাথমিকভাবে ঢাকা শহরের ৪ লাখ গ্রাহক এই সুবিধা পাবেন। এ বছরের শেষ নাগাদ চট্টগ্রামে চালু করা হবে থ্রিজি। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ভয়েস কলের (শুধু কথা বলা) রেট এখন যা আছে থ্রিজি’তেও তাই থাকবে বলে জানা গেছে। টেলিটকের থ্রি-জির সব সার্ভিসেই ১০ সেকেন্ড পালস সুবিধা থাকবে।
এদিকে অন্য মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো আগামী বছরের শুরুতে থ্রিজিতে যেতে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, ১৩ অক্টোবর, ২০১২
এসএআর/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর jewel_mazhar@yahoo.com