ইন্টারনেট ক্রমেই তার কর্মবিস্তৃতি ছড়াতে শুরু করেছে। এমনকি মহাকাশ গবেষণা এবং তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণেও ইন্টারনেট আজ অপরিহার্য।
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) এ মাধ্যমে রোবট নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার সতত্য জানিয়েছে। ভুপৃষ্ঠ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে রোবট নিয়ন্ত্রণের এ পদ্ধতিকে ডিসরাপশন টলারেন্ট নেটওয়ার্কিং (ডিটিএন) প্রোটোকল বলা হচ্ছে। ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণা এবং দূরবর্তী তারহীন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনায় ডিটিএন ব্যবহৃত হবে।
এ মুহূর্তে ভুপৃষ্ঠ থেকে মঙ্গলে অবস্থানরত রোবটের সঙ্গে তথ্য বিনিময়ে দীর্ঘসময় এবং ধীরগতি একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এ সমস্যাকে খানিকটা কাটিয়ে উঠতে আর মহাকাশে রোবট প্রযুক্তির বিকাশে এটি দারুণ একটি উদ্ভাবন। এমনটাই বলছেন মহাকাশ বিশেষজ্ঞেরা।
দ্য ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ইসা) এবং নাসা এ প্রযুক্তি সফল ব্যবহারের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। আসছে অক্টোবরে এ পরীক্ষা চালানো হবে।
আইএসএস(৩৩) মহাকাশযানের সুনিতা উইলিয়ামস একটি ল্যাপটপ এবং ডিটিএন সফটওয়্যার ব্যবহার করে জার্মানিতে এ প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পরীক্ষা করেন।
ভুপৃষ্টের ব্যবহৃত ইন্টারনেট প্রযুক্তির সঙ্গে ডিটিএন পদ্ধতির তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে এটি কোটি মাইল দূরের বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় খুব বেশি সময় ব্যয় করে না। স্যাটেলাইট, মহকাশযান, মহাকাশ স্টেশন এবং পৃথিবীর মধ্যে তারহীন দূরবর্তী সংযোগ প্রতিষ্ঠায় ডিটিএন হবে নব্য ঘরানার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কৌশল।
সৌরজগতের নানা ধরনের ঝড় এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ ধরনের সংযোগ স্থাপনে বেশ সময় ব্যয় হয়। এ সময় আর দূরত্বে তথ্যকে আরও গতিশীল করতে ডিটিএন বেশ কার্যকর।
ইসার মুখপাত্র কিম নারগার্দ জানান, দীর্ঘ দূরত্বে (কোটি কোটি মাইল) ইন্টারনেটে গতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখতে ডিটিএন সত্যিই কার্যকর। এখন মহাকাশে তথ্য বিনিময়ে এ কয়েক মিনিটের ব্যবধার আছে তা কমাতে সহায়ক হবে ডিটিএন।
প্রসঙ্গত, এক দশক আগে ইন্টারনেটের জনক হিসেবে খ্যাত ভিন্ট কার্ফ জানান ডিটিএন পদ্ধতি সম্পর্কে গবেষক এবং উন্নয়কদের প্রথম ধারণা দেন। এ তত্ত্ব থেকেই ডিটিএন পদ্ধতিকে বাস্তবিকভাবে কার্যকর করা হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৮০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১২