সাইবার ক্রাইম এখন তথ্য বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। আর এ ক্রাইম ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, চিহ্নিত ১০ শীর্ষ সাইবার অপরাধীর ৮৫ কোটি ডলারের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে এফবিআই। এদের মাধ্যমে বিশ্বের ১ কোটি ১০ লাখ কমপিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে।
এ যাবৎকালের সাইবার ক্রাইমের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় তদন্ত বলে এফবিআই মুখপাত্র জানিয়েছে। এ তদন্ত কাজে এফবিআইকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে সমঝোতা চুক্তিও সই হয়েছে।
এবারে ইয়াহুস মেলিসিয়াস সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যাক ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক এবং ব্যক্তিতথ্য সাইবার ক্রাইম হোতাদের হাতে চলে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসে এফবিআই। সহযোগিতা চাওয়া হয় ফেসবুকের। এবারে ফেসবুকও কোনো আপত্তি না তুলে স্পষ্টই সহায়তার কথা জানিয়ে দেয়।
এ আক্রমণের তদন্তে এফবিআই দ্রুতই এগিয়ে আসে। আক্রান্ত কমপিউটার এবং ব্যক্তিদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সব টুলস এবং স্প্যাম সরিয়ে নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে ফেসবুকের সিকিউরিটি টিম এফবিআইকে ইয়াহুস আক্রান্ত ছাড়াও ২০১০ থেকে অক্টোবর ২০১২ পর্যন্ত সাইবার আক্রান্ত বিভিন্ন ক্রাইমের তদন্তে মাঠে নেমেছে। এমন তথ্যই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সি।
সামাজিক মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ব্যক্তিতথ্যের নজরদারিতে ফেসবুক এবার এফবিআইকে তথ্যগত সহায়তা করবে। ফলে এ সাইবার আক্রমণের তদন্তে ব্যাপক অগ্রগতি হবে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞেরা এমন তথ্যই দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৮২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১২