অনলাইন সংস্কৃতিতে হ্যাকারদের উপেক্ষা করার কোনো অবকাশ নেই। কারণ যতটা সমৃদ্ধ হচ্ছে এ অঙ্গন, ততটাই আবার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
এ হ্যাকার দলের তালিকায় আছে এফবিআই, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এবং অনেক দেশের সরকারি মাধ্যমগুলো। লগইন হ্যাকের মধ্যে আছে ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড, ইমেইল এবং সিভি। এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক হওয়ায় দারুণ বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগীরা। এমনকি এ খাতে সরকারের কারিগরি দূর্বলতাও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গোস্ট সেল হ্যাকার দল বিশ্বেও ১৫০টি সার্ভাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ কৌশল সজ্জিত করে। এমনকি হ্যাকের পর তারা সংশ্লিষ্ট শীর্ষ ব্যক্তিদের তাদের কারিগরি দূর্বলতা ধরিয়ে দেয়।
অনলাইন গণমাধ্যমের বরাতে গোস্ট সেল জানান, এটি #প্রজেক্টহোয়াইটফক্স প্রচারণার অংশ। অনলাইনে তথ্যেও স্বাধীনতার জানান দিতেই তারা এ আক্রমণ পরিচালনা করেছে।
শুধু লগইন হ্যাক করে নয়, এসব ঠিকানা ব্যবহার করে যথেচ্ছা আক্রমণও চালানো হয়। ফলে বিভিন্ন সাইটের তথ্য এবং ছবি ওলোট-পালোট করে দেওয়া হয়। এতে তারা শক্তির প্রমাণ দেয়। ভয়ংকর এ দলটি ওয়েবে কনটেন্টেরও ওপরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। ফলে প্রশ্নবিদ্ধ হয় অনলাইনে ব্যক্তিতথ্যের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
এ হ্যাকার দলটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালকেও ভাবিয়ে তোলে। এ আক্রমণের শিকার হয় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সরকারি দপ্তর আর অফিস। সরকারের কারিগরি দক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই ছিল এ হ্যাকের প্রধান উদ্দেশ্য।
এদিকে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এসব প্রতিভাবান হ্যাকারদের সরকারি আইসিটি নিরাপত্তা খাতে নিয়োগও দেওয়া যেতে পারে। ফলে এ ধরনের সমস্যার একটি টেকসই সমাধান আসতে পারে।
বাংলাদেশ সময় ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১২