স্টাক্সনেট। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সক্রিয় ভাইরাস।
এ স্নায়ুযুদ্ধের লড়াইয়ে এখন চলছে তথ্য সন্ত্রাস (সাইবার ওয়্যার)। আরও একবার স্টাক্সনেট আক্রমণে কবলে পড়েছে ইরান। তবে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বলে এরই মধ্যে ইরান সরকার তথ্য বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু আক্রমণ হয়েছে এটা সত্য। আর তা জোরালোও ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে স্টাক্সনেট প্রথম আর্বিভূত হয়। শুরুতেই এ শক্তিশালী মেলওয়্যার বিশ্বজুড়ে হইচই বাধিয়ে দেয়। আর তাতে বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন থেকেই সাইবার ওয়্যারের অন্যতম অস্ত্র হিসেবে এ মেলওয়্যারকে চিহ্নিত করা হয়।
তবে বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় এ সাইবার হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক গবেষণা তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। আর তাতে একেবারেই যে সফলতা আসেনি তা কিন্তু নয়। কিন্তু এরপরই ইরান বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সতর্ক অবস্থা নেয়।
স্টাক্সনেট বিশ্বের অন্যতম রাজনৈতিক মেলওয়্যার হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। মূলত এরপরই আন্তর্জাতিক পরিসরে ইনফো ওয়্যারের দাবানল ছড়াতে থাকে। আর বিপরীতে সতর্কতাও বাড়তে থাকে। কিন্তু স্টাক্সনেট তার চরিত্র বদলে বারবারই আক্রমণ অব্যাহত রাখে।
এবারের আক্রমণেরও লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের পারমাণবিক গবেষণা তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। উইন্ডোজ এবং ইউএসবি মাধ্যমে এ দুটি মেলওয়্যার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করেছে। আর তথ্য সন্ত্রাসের এ ধারা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
স্টাক্সনেটের মাধ্যমে ইরান ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বেশি আক্রমণ চালানো হচ্ছে। গত ২ বছর ধরেই থেমে থেমে এ আক্রমণ অব্যাহত আছে। শুধু স্টাক্সনেট নয়, ডুকু, গুজ, মাহদি, ফেলম, ওয়াইপার এবং স্যামন এসব ছদ্মনামেও সাইবার ওয়্যার চালিয়েছে স্টাক্সনেট। এমন কথাই বলছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেরা।
বাংলাদেশ সময় ২০১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১২