অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড হওয়া অ্যাপসের সংখ্যা এখন ৪০০ কোটির বেশি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবিশ্বাস্য সফলতার খবর দিয়েছে অ্যাপল।
উল্লেখ্য, কেবল সফলতার বার্তায় নয় সাথে আছে অ্যাপ উন্নয়কদের জন্য আনন্দের বার্তা। কারণ আইডিভাইসের অ্যাপ উন্নয়কদের কৌতুহল বাড়াতে ৭০০ কোটি ডলার নির্ধারণের কথা জানিয়েছে অ্যাপল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় ৪০০ কোটি ডাউনলোডের এ হিসাব যথার্ত এতে কোনো গড়মিল নেই অর্থাৎ পুন:ডাউনলোড হয়েছে এমন সংখ্যা এতে অন্তর্ভূক্ত হয়নি।
শুরু থেকে এ পর্যন্ত অ্যাপের চাহিদার দিকটি লক্ষ্য করলে দেখা যায় পর্যায়ক্রমে প্রবল গতিতে আগ্রহ বাড়ছে অ্যাপ গ্রাহকদের। মাত্র এক বছর পূর্বে এ সংখ্যা ছিল অর্ধেক আর এখনকার হিসাবে তা দ্বিগুণ। যা প্রমাণ করে কতটা গতিবেগে ডাউনলোড বাড়ছে। গত বছরের ডিসেম্বরেই শুধু অ্যাপস ডাউনলোডের জন্য ২০০ কোটি নিবন্ধন হয়।
৭ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি অ্যাপস আছে অ্যাপস স্টোরে এছাড়া আইফোন, আইপ্যাড, আইপড টাচ উপযোগী গেম আছে। অ্যাপসের যে সংখ্যা স্থির নয় কারণ প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন অ্যাপ।
গত ২০০৮ সালে অ্যাপ স্টোর নিয়ে আসে অ্যাপল আড়াই বছর পর অর্থাৎ ২০১১ সালের ১৫ জুলাই এর ডাউলোডের সংখ্যা ১৫ বিলিয়ন ছাড়ায় এবং ২০১২ সালের মার্চে যোগ হয় আরো ১০বিলিয়ন।
অন্যদিকে গুগল প্লে স্টোর ইতিমধ্যে অ্যান্ড্রুয়েড পণ্যে উপযোগী অ্যাপস উপস্থাপন করছে। বর্তমান হিসাব অনুপাতে গুগল প্লে স্টোরে ৮ লাখের বেশি অ্যাপস আছে। যে সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুগল এ প্রজেক্টকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়েছে।
এ বছরের জুন নাগাদ ১ মিলিয়নে পৌছানোর আশা করছে তারা। গত বছরের সেপ্টেম্বরের হিসাবে প্লে স্টোরের ডাউনলোড সংখ্যা ২৫ বিলিয়ন। বাজার গবেষকদের মতে, অ্যাপ ডাউলোডের গতি সবসময় অত্যন্ত স্পষ্ট। ২০১২ সালে প্লে স্টোরের ডাউলোড সংখ্যা ১৫ বিলিয়ন।
উল্লেখ্য, গুগলও সমপর্যায়ে পৌছাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আলোচকরা বর্তমানে এ খবরের উপর জোর দিয়ে বলাবলি করছে আগামী বছরে গুগল আর অ্যাপল যদি একই সমান্তরালে থাকে তবে আশ্চর্য হওয়ার মত কিছুই ঘটবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘন্টা, ০৮ জানুয়ারি, ২০১২