চীনের জনসংখ্যা এখন ১৩০ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে এ জনসংখ্যাকে অচিরেই ছাড়িয়ে যাবে দেশটির ইন্টারনেট জনসংখ্যা।
প্রসঙ্গত, গত বছর এ কেন্দ্রের হিসাবে ইন্টারনেট জনসংখ্যা ৫০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করে। কিন্তু অনলাইন জনসংখ্যায় দ্রুত এগিয়ে যাওয়া দেশটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় ই-কমার্সের প্রতিনিধিত্ব করছে। গত বছরের ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধি ২৪.৮ ভাগ। আর সংখ্যায় তা ২৪ কোটি ২০ লাখ ভোক্তাকে ছাড়িয়েছে।
এ ছাড়াও ২০১২ সালের হিসাবে চীনে মোবাইল ইন্টারনেটের সুবাদে ৪২ কোটি অনলাইন গ্রাহক তৈরি হয়। আর প্রবৃদ্ধির হিসাবে তা ১৮.১ ভাগ। মাইক্রোব্লগিং সেবা যেমন টুইটারও চীনে তাদের ভক্ত সংখ্যা বাড়িয়েছে। শুধু ২০১২ সালে ৫ কোটি ৮০ লাখ গ্রাহক বাড়িয়ে এ মুহূর্তে সবমোট ৩০ কোটি ৯০ লাখ টুইটার ভক্তের দেশ হচ্ছে চীন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই চীন সরকার দেশটির সাধারণ জনগণের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারে নানামুখি নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে। এটি নিয়ন্ত্রণে চীন সরকার ‘দ্য গ্রেট ফায়ারওয়্যাল সিস্টেম’ চালু রেখেছে। এ ছাড়াও আছে নানা ধরনের জরুরি অনলাইন নিয়ন্ত্রণ।
এতকিছুর পরও অনলাইন জনসংখ্যাকে বরাবরই রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে চীন সরকার। নতুন এ পরিসংখ্যান অন্তত সে কথাই বলছে। আর অচিরেই দেশটির ই-জনসংখ্যা চীনের মূল জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞেরা হিসাবে গুনেই এ তথ্য দিয়েছেন।
হঠাৎ করেই স্মার্টফোন, ট্যাবলেট আর বহনযোগ্য খুদে ই-পিসির চাহিদা আর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় প্রযুক্তিপ্রেমীরা এখন ইন্টারনেটমুখি। শুধু ডেস্কটপ পিসির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে এখন ইন্টারনেট ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিটি ডিজিটাল পণ্যেয়। আর সরাসরি এ কারণেই ইন্টারনেট জনসংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। ইন্টারনেট জনসংখ্যার গাণিতিক প্রবৃদ্ধির কারণ হিসেবে এসব ব্যাখ্যাই দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
বাংলাদেশ সময় ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৩