জাপানের ব্যবসাভিত্তিক সংবাদপত্র নিকি‘র প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছে নতুন আইফোন ৫’র জন্য এলসিডিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের যে ফরমায়েশ দেওয়া হয়েছিল তা প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে আনছে অ্যাপল। এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ হয়েছে, বছরের প্রথমভাগে আইফোন ৫ এর চাহিদা খুবই কম।
যে কারণে জাপান ডিসপ্লে, শার্প এবং কোরিয়ার এলজিকে কোপার্টিনা বেজড নির্মাতা আইফোন ৫’র এলসিডি প্যানেল সাদামাটাভাবে অর্ধসংখ্যক সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম ভাগের জন্য প্রথমত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৬৫ মিলিয়ন ডিসপ্লের অর্ডার দিয়েছিল।
তাই বলা হচ্ছে খবর যদি সত্যি হয় তবে বিশেষজ্ঞদের আইফোন ৫ বিক্রি সম্পর্কিত ধারণা তথ্যের সাথে মিলে যাবে। কারণ গত সেপ্টেম্বরে অবমুক্ত এ পণ্যটি নিয়ে যেমন প্রত্যাশা ছিল সেই অনুযায়ী ক্ষমতা পায়নি পণ্যটি।
উল্লেখ্য, গ্লোবাল স্মার্টফোনের ২০০ ডলার বিলিয়নের বাজারে অ্যাপলের চরম লোকসান গুণতে হয়েছে যেখানে সাউথ কোরিয়ান জায়েন্ট স্যামসাং ইলেকট্রনিক্মস এবং কম শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান যেমন হুয়াওয়ে এবং জেডটিই ছিল।
এদিকে স্যামসাং গত সোমবার জানান, গত ২০১০ সালের মে মাসে প্রকাশিত গ্যালাক্সি এস‘র বিক্রি ১০০ মিলিয়ন এরপর গত মে মাসে আসা গ্যালাক্সি এসথ্রি মাত্র ৭ মাসে ৪০ মিলিয়নের বেশি বিক্রিত। আর নতুন গ্যালাক্সি এস৫’কে কয়েক মাসের মধ্যে দেখার অপেক্ষায় আছে পুরো বিশ্ব। আসন্ন পণ্যটির পর্দা সম্ভবত অভঙ্গুর।
অ্যাপলকে অতিক্রমে সক্ষম হওয়ার পেছনে রয়েছে গ্যালাক্সি নোট ২ সাথে ট্যাবলেটের জনপ্রিয়তা।
ফরমায়েশ কমানো প্রসঙ্গে আরো বলা হয়, জাতীয় দিবস থাকায় শার্পের কারও এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া অ্যাপলের তাইওয়ানের সরবরাহকারীরা বিষয়টির সাথে একমত হননি। আর অ্যাপলের একজন মুখপাত্র কর্মদিবসের বাহিরে হওয়ায় সেই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করেনি। তাই বিষয়টির সত্যতা এখনও অস্পষ্ট।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয় জাপানের নোমি, সাউথইস্ট জাপান ডিসপ্লে প্লান্ট যেখানে অ্যাপল ব্যাপক পরিমানে বিনিয়োগ করে। অক্টোবর এবং ডিসেম্বরে অস্থায়ীভাবে ৮০ ভাগ পর্যন্ত আউটপুট কমানোর প্রত্যাশা করেছিল অ্যাপল। এছাড়া শার্প যে মুহূর্তে আইফোন ৫ এলসিডি পেনেলে বিশেষ সুবিধা রাখতে প্রস্তত তখনই উৎপাদন প্রায় ৪০ ভাগ কমছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘন্টা, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৩