শূন্য থেকে শুরু। তবে গল্পটা আজ ৫ হাজার কোটি ডলারের।
২০১২ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে এসে ১ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার আয় করেছে। আর এ আয়ের পুরোটাই এসেছে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে। ২০১১ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে তুলনায় এ বছরের প্রবৃদ্ধি ৩৬ ভাগ। স্মার্টফোন, ট্যাব আর অনলাইন বিজ্ঞাপনের চাহিদা এবং প্রচার দুটোই বেড়ে যাওয়ার কারণে এ বিশাল বিজ্ঞাপনের বাজারে গুগল নেমেই সফল হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ল্যারি পেজ বলেন, গুগলের ২০১২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক আর্থিক সাফল্য দিয়েই কেটেছে। প্রতি বছরের হিসাবে এ প্রবৃদ্ধি ৩৬ ভাগ। আর ত্রৈমাসিকের হিসাবে ৮ ভাগ। আর বছরের শেষভাগে এসে অঙ্কটা ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ অর্থে এক যুগের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ অর্জন মোটেও খারাপ নয়।
২০১২ সালে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৯ ভাগ। এর মধ্যে শুধু গুগল সাইট থেকেই থেকেই আয় এসেছে ৮৬৪ কোটি ডলার।
এ ছাড়াও গুগলের সহযোগীরা ৩৪৪ কোটি ডলার আয়ের যোগান দিযেছে। এটি এ ত্রৈমাসিকের হিসাবে ২৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি। এ পরিসংখ্যানে ২০১১ সালের সবগুলো ত্রৈমাসিকের হিসাবেই গত বছর গুগল এগিয়ে গেছে।
বছরের প্রতি ত্রৈমাসিকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে ২৮৯ কোটি ডলার আয় করেছে গুগল। অথচ আগের বছরগুলোতে পুরো বছরেই আয় হতো ২৭১ কোটি ডলার। গুগল এবং ফেসবুকে অনলাইনভিত্তিকু অ্যাডের কারণে বিশ্বব্যাপী বিশাল এক ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার তৈরি হয়েছে।
এদিকে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনদাতারাও এখন ডিজিটাল অ্যাডকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। অচিরেই কোনো পণ্যই ডিজিটাল অ্যাডের বর্হিভূত থাকবে না। বিশেষ করে ই-কমার্স, অনলাইন ব্যাংকিং, বিজনেস কনটেন্ট, পণ্যের প্রচার, মোবাইল সার্ভিস এবং অপারেটরেরা ডিজিটাল বিজ্ঞাপনমুখী হওয়ার এ খাতে গুগল আর ফেসবুকের ব্যবসা এখন রমরমা।
গুগলের ডিজিটাল অ্যাড থেকে আয় ২০১৩ সালে শেষভাগে এসে ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। একই তালে এগোচ্ছে ফেসবুক। আর তাতে ‘থার্ড পার্টিদের’ আয়ের সংখ্যাও বাড়ছে। তৈরি হচ্ছে শতকোটি ডলারের সহযোগী বিজ্ঞাপন বাজার। আর এ বাজারে বাংলাদেশও ইমার্জিং কান্ট্রি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার এখন কোটি ডলারের পথে ভালোভাবেই এগোচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৩