রুপসী বাংলা থেকে: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিকম গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার পরিচালক ও শ্রীলঙ্কার অধ্যাপক রোহান সামারাজিভা বলেছেন, বাংলাদেশকে আইটি ভিত্তিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমসের অধিকতর ব্যবহার করা দরকার। মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেটের অপার শক্তি ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রুপসী বাংলা হোটেলে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টরের ভবিষ্যৎ ও ভিশন ২০২১ ’র অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এসব কথা বলেন তিনি।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি, ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নরলিন বিনতি ওসমান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান পদে সুনীল কান্তি বোস, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের(অ্যামটব) সভাপতি ও রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ক্যুনার, আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি আফতাব উল ইসলাম, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি ফারুক সোবহান।
সামারাজিভা বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি ও ডাউনলোড গতি বাড়াতে হবে। এটি শুধু বিনোদন নয়, প্রয়োজন। এমনিক শিক্ষার জন্যও বিভিন্ন উপাদান তারা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করতে পারবে।
ভারতের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ভারতে ডেস্কটপে ইন্টারনেট ব্যবহার গত ছয় মাসে ৫০ শতাংশ কমেছে। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার ৫০শতাংশ বেড়েছে। তাই আগামীর ইন্টারনেট ও অনলাইন সেবা হতে হবে মোবাইল ভিত্তিক। সব শ্রেণীর মানুষ মোবাইলের মাধ্যমে নিজেদের হাতে ইন্টারনেট সংযোগ সহজে নিতে পারে। স্বল্প দামে স্মার্টফোনের তুমুল জনপ্রিয়তাই প্রমাণ করে, মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারে আগ্রহী।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই গবেষক বলেন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট আগের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বেশি। সাধারণ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনতে সরকারকে কাজ করতে হবে। তবে এদেশে থ্রিজি সংযোগ এসেছে, যা অনেক দেশে এখনো নেই। সৌভাগ্যবশত বাংলাদেশে অনেকগুলো টেলিকম কোম্পানি কাজ করছে। তাদেরকে কাজে লাগিয়ে থ্রিজি সবার হাতে পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইউটিউব, ব্লগ, ফেসবুক বা বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ ওয়েবসাইট একটি দেশের অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। তথ্য, আইন, শিক্ষা, প্রযুক্তির বিকাশ, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনলাইনের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সরকার ও মিডিয়াকে এ বাস্তব সত্যকে প্রচার করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রয়ারি ১২, ২০১৩
এমআইআর/সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- eic@banglanews24.com