ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে তৈরি চলচ্চিত্র ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ায় ভিডিও শেয়ারিং সাইটটি নিষিদ্ধের আদেশ দিয়েছে মিশরের কায়রো আদালত। এজন্য সরকারকে ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
বিচারক হাস্যুনা তৌফিক ‘ ইসলাম এবং মুসলীম গোষ্ঠীর পথ প্রদর্শক হযরত মুহাম্মদ সা: এর প্রতি অবজ্ঞা করে যে ধরনের চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে সে বিষয়টি বর্ণনার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন’।
মিশরের রাজধানী যেখানে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথম এই ফ্লিম প্রকাশ হয়। যার ফলে ২০ টির বেশি দেশে সঙ্ঘাতময় পরিস্থিতি তৈরির জেরে ৫০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারায় ।
অবশ্য, আদালতের এই রায় পূর্ব নজিরের ভিত্তিতে পুন:আবেদনযোগ্য। কিন্তু আইন অনুযায়ী এটি চাপ প্রয়োগমুক্ত হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে সাইটটি বন্ধের বিষয়টি এমুহূর্তে বিতর্কিত পর্যায়ে।
মানবাধিকার আইনজীবি গ্যামল ঈদ বলেন, ইন্টারনেটের কার্যপক্রিয়া সম্পর্কে জুরি সদস্যদের ধারণার অভাব থেকে বিশাল একটি অংশের উপর ইউটিউব বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এই রায় প্রযুক্তিতে তাদের দূর্বল অভিজ্ঞতার বিষয়টি সুস্পষ্ট করে।
তিনি আরও বলেন, বিচারকগণের বিবেচনায় আসেনি যে একটি ভুল পোষ্টের অর্থ পুরো ওয়েবসাইট বন্ধ হতে পারেনা। সরকারকে আপিলের কাগজপত্র সুস্পষ্টভাবে তৈরি করে বিচারকের কাছে উপস্থাপন করা উচিত। যাতে ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট পেজগুলো নিষিদ্ধ করা যায়।
গ্যামল ঈদ অ্যারাবিক নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস ইনফরমেশনের কার্যনির্বাহী পরিচালক।
উল্লেখ্য, ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ এর ১৪ মিনিট ক্লিপে মুসলিম ধর্মের প্রিয় নেতা মুহাম্মদের জীবনচিত্রকে বিকৃতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি তৈরি করে মিশরে জন্মগ্রহণ করা খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী যে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ধর্ম নিয়ে এ ধরণের ঘৃণতম কর্মকান্ড নিষিদ্ধকরণে মিশরীয় সংবিধানে নতুন আইন অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আলোড়িত বিষয়টি বিশ্বের সর্বত্রে ব্যাপকবিস্তৃত হওয়া বাদেও এর প্রভাব পড়েছিল দুই বছর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসনে মোবারকের পদত্যাগ আন্দোলনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘন্টা, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩