ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

পাচার করা মেধা ফিরিয়ে আনা হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
পাচার করা মেধা ফিরিয়ে আনা হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমান সরকার মেধা পাচারের বদলে পাচারকৃত মেধা ফিরিয়ে আনতে চায়। সেক্ষেত্রে আপনাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

আমরা আপনাদের ভালোভাবে ব্যবসা করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেব। আপনারা আমাদের আগামী প্রজন্মকে কিভাবে আরও দক্ষ এবং বিশ্বমানের করে তোলা যায়, তাদের কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, এ বিষয়ে যেকোনো সময় সরকারের সহযোগিতা চাইলে সেই সহযোগিতা দিতে আমরা শতভাগ প্রস্তুত।

রোববার (২৫ জানুয়ারি) ধানমন্ডির বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন’ শীর্ষক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।

এতে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবীর, ইন্টেল কান্ট্রি বিজনেস ম্যানেজার জিয়া মনজুর, সিসকো অ্যান্ড লিংকেসিস’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ফখরুদ্দীন আহমেদ, এইচপি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি মো. ইসমাইল, ওরাকল বাংলাদেশের প্রতিনিধি মো. মুনির, ডি-লিংক এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার হোসেন, বিজনেস ল্যাণ্ড লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফয়েজউল্যাহ খান, গ্লোবাল ব্র্যান্ড (প্রা) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম আব্দুল ফাত্তাহ, স্মার্ট টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, ফ্লোরা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা শামছুল ইসলাম, কম্পিউটার সোর্স লিমিটেডের পরিচালক আসিফ মাহমুদ।

বিসিএস সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কোথায় কোথায় বাঁধা আছে বলবেন, পর্যায়ক্রমে সব বাধা দূর করা হবে। এর মাধ্যমে আমাদের যে সব প্রযুক্তিসেবী, কর্মী, বিশেষজ্ঞ বিদেশে চলে গেছেন, আশা করি তারা নিজ দেশের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। এভাবেই সমৃদ্ধ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম।   

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আধুনিক বিশ্ব ও প্রযুক্তি কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে ধারণা না থাকলে যে আগানো যায় না, তা আপনারা দেখেছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকলেও আমরা সেই সুবিধা নেনাই। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রযুক্তি সম্পর্কে খুবই স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে এবং তাদের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে আমরা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য আইসিটি পলিসি করেছি, ব্রডব্যান্ড পলিসি করেছি, টেলিকম পলিসি করেছি।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ৩১ মার্চ থেকে পাঁচ দিনব্যাপী বিসিএস আইসিটি এক্সপো ২০১৫ অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেন।

সভায়  দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের অংশীদার প্রতিটি সংগঠনের সমন্বিত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ‘মেক বাই বাংলাদেশ’ রূপকল্প ঘোষণা করা হয়।   রূপকল্প অনুযায়ী ২০১৮ সালের মধ্যে আইসিটি খাত থেকে জিডিপিতে দুই শতাংশ অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৭ সালের মধ্যে আইটি হার্ডওয়্যার ইনস্টলেশন খাত থেকে এক বিলিয়ন এবং ২০১৮ সালের মধ্যে সফটওয়্যার খাত থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।