ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৫
বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বিশ্ব কাঁপিয়ে দেয়ার মতো লোক আমাদেরও আছে। আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা সে রকম লোক তৈরি করতে চাই। এমনটিই বললেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

শুক্রবার (৮ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে তথ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদানকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া। এর মাধ্যমে আমরা একধাপ এগিয়ে যাব।

পলক বলেন, আমাদের সম্পদের, অর্থের ঘাটতি থাকতে পারে কিন্তু মেধার ঘাটতি নেই।

মেধার দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। তোমরাই একদিন ডিজিটাল বাংলাদেশের আইকন হয়ে উঠবে।

তিনি বলেন, ১৯ বছর বয়সে মার্ক জাকারবার্গ যদি ফেসবুক তৈরি করতে পারেন আমরা কেন পারব না। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জাকারবার্গ এখানেই লুকিয়ে আছে।

সর্ব কনিষ্ঠ এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই আমরাও পারি। যেমন ক্রিকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে।   

প্রযুক্তিকে সাধারণের নাগালের মধ্যে আনার পাশাপাশি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে তার মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

পলক বলেন, তোমাদের দিকেই পৃথিবী তাকিয়ে আছে। দেশ এগিয়ে নিয়ে যেতে তোমরাই স্বপ্ন দেখবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার সহযোগিতা করবে।

তিনি আরো বলেন, আজকে তোমাদের এখানে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে) নিয়ে আসা হয়েছে যেন তোমরা স্বপ্ন দেখতে পারো। বঙ্গবন্ধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র ছিলেন।

একদিন এখানেই বসেই তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন একদিন তিনি বাস্তবায়নও করেছিলেন।   

‘জানুক সবাই, দেখাও তুমি’ এই স্লোগানে দেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি আগ্রহ করে তুলতেই এ আয়োজন। আজকের প্রতিযোগিতায় কুইজে ১২০ জন এবং প্রোগ্রামিংয়ে ৪০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করে পুরুস্কার প্রদান করা হয়।

সারাদেশকে আটটি অঞ্চলে ভাগ করে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এ আটটি অঞ্চলের বিজয়ীদের নিয়ে আগামী ২৯ মে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বাংলাদেশ কম্পউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবীর, অভিনেত্রী শমি কায়সার, আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার বিচারক মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৫/আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা.
এজেডকে/কেএইচ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।