ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জেনুইন সফটওয়্যার ব্যবহার বৃদ্ধিতে বিসিএসের কর্মসূচি

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৫
জেনুইন সফটওয়্যার ব্যবহার বৃদ্ধিতে বিসিএসের কর্মসূচি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জেন্যুইন সফটওয়্যারের ব্যবহার বাড়াতে দেশব্যাপী বিশেষ সচেতনতা কর্মসূচি চালাবে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)। এ লক্ষ্যপূরণে তথ্যপ্রযুক্তি বাজার পরিদর্শনসহ পাঁচ দফা কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।



বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে বিসিএস’র মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন সমিতির সভাপতি এ এইচ এম মাহফুজুল আরিফ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির। মেধাস্বত্ব অধিদফতরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জোহরা বেগম, বিসিএস মহাসচিব নজরুল ইসলাম মিলনসহ বিসিএসের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিসিএসের ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হচ্ছে-সাধারণ মানুষ, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য ব্যবহারকারী ও বিক্রেতাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে রোড-শো।

মেধাস্বত্ব আইনের বাস্তবায়ন ও সাইবার অপরাধ দমনে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য বিক্রেতাদের নিয়ে সেমিনারের আয়োজন।

যেসব টেন্ডারের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রযুক্তিপণ্য ও সফটওয়্যারের প্রয়োজন রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতির (আইসিটি পলিসি) ন্যায্য, স্বচ্ছ ও সুষম ব্যাখ্যা উপস্থাপন।

বিভিন্ন টেন্ডারে (গত ২৪ মাসে যে সকল টেন্ডার হয়েছে) যেন প্রকৃত সফটয়্যার সরবরাহ করা হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিসিএস অডিট বিভাগকে সহযোগিতা করবে।

প্রকৃত সফটওয়্যার বিক্রি নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি-বাজার পরিদর্শন।

অনুষ্ঠানে সোনিয়া বশির কবির বলেন, পাইরেসির হার কমানোর জন্য মাইক্রোসফট বিশ্বব্যাপী নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাইক্রোসফট মনে করে, সফটওয়্যার পাইরেসির নেতিবাচক প্রভাব থেকে গ্রাহক ও ব্যবসাকে দূরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। মেধাসম্পদ রক্ষায় মাইক্রোসফট নিজে এবং পাশাপাশি বিসিএসের সঙ্গে যৌথভাবে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও তা ব্যবহারের চেষ্টা করছে। এমনকি পুরো ডিজিটাল রাজ্যে অপতৎপরতা (স্পাম ছড়ানো, ইন্টারনেটে ফাঁদ পাতা, হ্যাকিং ইত্যাদি) রোধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

মাহফুজুল আরিফ বলেন, একজন গ্রাহক সবসময়ই সব কাজ ঠিকমতো করতে চান। কিন্তু তিনি যখন প্রায়ই তার অজ্ঞাতেই প্রতারিত হন, সেটা তার জন্য অনেক কষ্টের হয়ে দাঁড়ায়। জাল সফটওয়্যার ব্যবহার করলে গ্রাহক গুরুত্বপূর্ণ প্রডাক্ট-আপডেট  ও কারিগরি সহায়তা পান না। এমনকি তারা ক্রটিপূর্ণ কোড, স্পাইওয়্যার, ওয়ার্ম ও ভাইরাস আক্রমণের চরম ঝুঁকিতে থাকেন।

এসব থেকে পরিত্রাণের কারিগরি সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যেই বিসিএস মাইক্রোসফট এক হয়ে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৫
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।