ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সাইবার সুরক্ষায় মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৬
সাইবার সুরক্ষায় মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে

ঢাকা: সাইবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা তথা সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি নিরূপণে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার জন্য বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সাথে চুক্তি করছে সরকার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিততিতে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সচিবালয়ে বিটিআরসি ও মাইক্রোসফটের সঙ্গে এ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বুধবার (২৯ জুন) নিজ দফতরে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, চুক্তির ফলে আমাদের বিশেষজ্ঞ তৈরি হবে এবং সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলা করতে পারবো।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিঙ্গাপুর সফরের সময় টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর মাইক্রোসফটের সঙ্গে আলোচনাকালে যে আশ্বাস পাওয়া যায় এই চুক্তি তারই ফলাফল।
 
ওই সময় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া সফরকালে ফেসবুক ছাড়াও সিঙ্গাপুরে গুগল ও মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।

নারীর প্রতি সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অভিযোগ জানালে ফেসবুক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাড়া দেওয়ার কথা জানায় ওই সময়।

তারানা হালিম তখন বলেন, সাইবার আক্রমণের পূর্বাভাস মূল্যায়ন ও এ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মাইক্রোসফট।

‘তারা বাংলাদেশকে সাইবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি নিরুপণে সহায়তার আশ্বাস দেয়। ’

বৃহস্পতিবার নিজ দফতরে তিনি আরও বলেন, সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে যদি কোনো কনসার্ন থাকে তাহলে মাইক্রোসফট বাংলাদেশে কোথায় সাইবার সিকিউরিটি থ্রেট আছে তা বুঝতে পারবে।

‘আর তা মাইক্রোসফট বাংলাদেশকে অবহিত করলে  এবং তখন আমরা একত্রিতভাবে তাদের এবং আমাদের বিশেষজ্ঞ দিয়ে সেটা মোকেবেলা করার চেষ্টা করব।
 
“মাইক্রোসপটের সে ধরনের মেকানিজ্যম আছে, যেখানে তারা বুঝতে পারে- এই জায়গাটায় সাইবার অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সে রকম বুঝতে পারলে ওরা বাংলাদেশকে একটা ফ্লাগ দেখাবে যে তোমার এই জায়গায় সতর্ক হওয়া দরকার। ”

এই সমঝোতা খুবই উপকার হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের স্কিলড ম্যানপাওয়ার ডেভলোপ এবং একই সঙ্গে সাইবার থ্রেটটা মোকাবেলার জন্য উপযোগী হবে।

বিনামূল্যে এই সমঝোতায় বাংলাদেশ সরকারকে কোন অর্থ খরচ দিতে হবে না। সেজন্য মাইক্রোসফটের প্রতি কৃতজ্ঞা জানান তারানা হালিম।  
এরআগে এমন চুক্তি হয়নি বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

কোন নির্দিষ্ট টাইমফ্রেম না থাকলেও পরবর্তীতে মাইক্রোসফটের সঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি চুক্তিতে পরিণত করার ইচ্ছা পোষণ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাইক্রোসফটের আনুষ্ঠানিক একটা টুক্তি সই করতে চাচ্ছি। এই সমঝোতা সেই প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা।
 
মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তিতে নিজের ওয়াদা পূরণের আরেকটি ধাপ পূরণ হতে যাচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চুক্তিটা হলে খুবই ভালো হবে। কেননা সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সে ধরনের বিশেষজ্ঞ আমাদের তৈরি হয়নি।

‘আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করলে সাইবার থ্রেট চিহ্নিত করে মোকাবেলা করা যাবে। এতে দক্ষতা তৈরি হলে আমরাই ডিটেক্ট করতে পারবো। ’

তিনি জানান, সাইবার নিরাপত্ত নিয়ে বিটিআরসি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন এনটিএমসি এবং আইসটি বিভাগ পৃথকভাবে কাজ করলেও সমন্বয় নেই।

তারানা হালিম বলেন, গুগলের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে যাতে সার্চিংয়ের সময় আপত্তিকর বিষয়গুলো না চলে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৬
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।