ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেটের ধীরগতি ২৪-২৬ অক্টোবর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
ইন্টারনেটের ধীরগতি ২৪-২৬ অক্টোবর

ঢাকা: প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিইউ-৪) রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগামী ২৪-২৬ অক্টোবর ইন্টারনেটের ধীরগতি থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
 

রোববার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা জানিয়ে বলেন, দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত থাকায় বিকল্প পদ্ধতিতে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হবে।  
 
দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দীর্ঘ সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন থাকাকালে পটুয়াখালীতে স্থাপিত দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিইউ-৫) ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে দেশের ইন্টারনেট।


 
তারানা হালিম বলেন, সিমিইউ-৪ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে গেলে ইন্টারনেট থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকবো না। যেহেতু সিমিইউ-৫ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি, সে কারণে আমরা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হচ্ছি না, ওই সময়ে গতি স্লো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমাদের আইটিসি লাইসেন্সধারীরা আছে, এতে খুব বেশি সমস্যা হবে না।
 
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন কেবল ‘সিমিইউ-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যাচ্ছে।
 
এটি ছাড়াও বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন কেবলের (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
 
আর গত ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চালু হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার গোড়া আমখোলাপাড়ায় এ ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে ১৫০০ গিগাবাইট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাবে বাংলাদেশ।
 
দেশে ইন্টারনেটের চাহিদা ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে ১২০ জিবিপিএস এতোদিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিএসসিসিএলের মাধ্যমে আসছিলো। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইডথ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
 
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা রফতানি করবো, আমদানি কমাবো, যাতে আইটিসিগুলো আমাদের কাছে ব্যান্ডউইডথ নেয়। চাহিদা সৃষ্টি হলে আমাদের ক্যাপাসিটি আছে, আমরা ১৫০০ জিবি পর্যন্ত বাড়াতে পারি। চাহিদা না থাকে তাহলে সেই পরিমাণ ব্যান্ডউইডথ নিয়ে এলে আমাদের লস হবে।
 
আইটিসিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দাম কমিয়ে দিয়েছি। আপনারা আমাদের কাছ থেকে ব্যান্ডউইডথ নেন।
 
এর আগে টেলিটকের নতুন প্যাকেজ ‘অপরাজিতা’ সিমের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭/আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।