তথ্যপ্রযুক্তির বড় আসর বেসিস সফট এক্সপোতে এসেছে এমনই একটি রোবট, যাতে যুক্ত হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া চারদিন ব্যাপী এই প্রদর্শনীতে ‘রোবোটিক আর্ম’ নামের রোবটটি ঘিরে প্রযুক্তিপ্রেমীদের আগ্রহের শেষ ছিল না।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী এই রোবটটি তৈরি করে নিয়ে এসেছেন প্রদর্শনীতে।
প্রকল্পের টিম লিডার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকটোনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দশম সেমিস্টারের ছাত্র এনায়েত উল্লাহ জুয়েল বলেন, তৃতীয় প্রজন্মে রোবট দিয়ে শুধু নিয়ন্ত্রণ করা যেত। চতুর্থ প্রজন্মে শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রত্যেকটি বিষয়ে ফিডব্যাক প্রয়োজন।
‘রোবোটিক আর্ম’ এ এমন সব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে তার কাজে কোনো ওভারলোড হচ্ছে কিনা বা কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা, সেগুলোর ফিডব্যাক দেবে। এই রোবটটি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।
রোবটটি ফুড প্রসেসিং, কেমিক্যাল বা ফার্মাসিটিক্যালের মতো শিল্প কারখানায় যেখানে একই কাজ বার বার করা হয় সেখানে ব্যবহার করা যাবে।
প্রদর্শনীতে দেখা যায়, রোবটটি একটি বল তুলছে এবং অন্য জায়গায় রাখছে। আর সেটি পরিচালনা করা হচ্ছে বাটন দিয়ে।
জুয়েল জানান, ভবিষ্যতে যারা আমাদের দেশে রোবট নিয়ন্ত্রণ করবে তারা শিক্ষিত না। এজন্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাটন ছাড়াও অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ দিয়ে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। রোবটটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সংযোজনের কাজ চলছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
রোবট তৈরিতে দেশীয় উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অল্প খরচে এই রোবটটি তৈরি করা যাবে। বিদেশ থেকে এমন রোবট কিনতে পরিবহন খরচসহ দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হবে। আর এটি পাওয়া যাবে মাত্র ৬০-৭০ হাজার টাকায়।
প্রদর্শনীতে দেখা যায় রোবটটি এক কেজি ওজনের বস্তু তুলতে পারছে। তবে প্রয়োজনে তা বাড়ানো যাবে বলে জানান জুয়েল।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সাইফ আহমেদ কোরায়শী, ইইই বিভাগের দশম সেমিস্টারের তানভীর হোসেন রায়হান, ইইই বিভাগের রাফিউল দশম সেমিস্টারের আজম ফারহাদ এবং কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ছাত্র সাধন সরকার রোবটটি তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর তাদের সুপারভাইজর ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান।
সাইফ আহমেদ কোরায়শী বলেন, আমরা যেখানে মেকানিক্যাল কোনো কাজ করতে পারতাম না। এতো বড় একটা জিনিস তৈরি করেছি, আমরা শিখছি। আমরা চাই না অন্য দেশের উপর নির্ভরতা। তবে ভালো সাপোর্ট পেলে আরো কাজ করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ