বুধবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফাইভ-জি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মোবাইল ফোন অপারেটর রবি, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ও বিটিআরসি যৌথভাবে পরীক্ষামূলক প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা ফাইভ-জি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। যদি দেশের মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের আবারও ক্ষমতায় আনে তবে আমরা ফাইভ-জি চালু করবো।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইন্টারনেট সেবা মানুষের জন্য সহজলভ্য করেছি। স্বল্পমূল্যের ইন্টারনেট দিতে বিটিআরসিকে চাপ দিয়েছি, গত কয়েক বছরে ইন্টারনেটের দাম কমানো হয়েছে ৯৯ শতাংশ, বিশ্বের সবচেয়ে কম মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পায় বাংলাদেশের মানুষ।
জয় বলেন, বাংলাদেশই প্রথম দেশ যেখানে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এক জি থেকে ফোর জি চালু করতে পেরেছে।
নিজেকে ‘টেকি’ (প্রযুক্তিপ্রেমী) উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, যখনই কোনো নতুন প্রযুক্তি আসে, আমি সেটা ব্যবহার করতে চাই। প্রযুক্তিপ্রেমী হিসেবে এটা আমার অভ্যাস।
চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বহুল প্রতীক্ষিত ফোর-জি বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল-ইন্টারনেট সেবার লাইসেন্স গ্রহণের পর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এই সেবা চালু করেছে। তবে লাইসেন্স গ্রহণ করলেও রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক এখনও ফোর-জি সেবা চালু করেনি।
অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো ফাইভ-জি’র সফল প্রদর্শন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম কিভাবে কাজ করবে তা দেখানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের রূপান্তরে ফাইভ-জি’র ব্যবহার প্রদর্শন করা হয়।
পরবর্তী প্রজন্মেও এই তারহীন প্রযুক্তি মানুষের প্রতিদিনের জীবনধারা পরিবর্তন করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চালকবিহীন গাড়ি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, বিগ ডাটা, ইন্টারনেট অব থিংকস, স্মার্ট সিটি এবং নেটওয়ার্ক তৈরিতে ফাইভ-জি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, হুয়াওয়ের সাউথ ইস্ট এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জেমস উ এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝ্যাং জেং জুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮/আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমজেএফ/এমএ