শুক্রবার (১০ আগস্ট) বিকেলে নাটোরের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিনা খাতুন।
এদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ১১ কোটি তরুণ-তরুণী উন্নত বাংলাদেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি খাতে ওই তাদেরকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের ২০ লাখ তরুণ-তরুণী ডিজিটাল সৈনিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করবে। দেশের তরুণ প্রজন্ম ২০২১ সাল নাগাদ তথ্য প্রযুক্তি খাতে পাঁচ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে।
তিনি বলেন, রাজশাহী, বগুড়া ও পাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত নাটোরে দেশের প্রথম ইনকিউবেশন সেন্টার। এটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তির কেন্দ্রস্থল হিসেবে নাটোর অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। অদূর ভবিষ্যতে এর সুফল সারাদেশের সঙ্গে বিনিময় করা যাবে বলে প্রতিমন্ত্রী পলক আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সাররাই এক একজন মেন্টর। তাদের হাতেই এদেশ একদিন সোনার বাংলা হবে এবং সেদিন সমাগত প্রায়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে নাটোর হবে উন্নয়নের রোল মডেল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- নাটোর জেলা ফ্রিল্যান্সার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মওলা শাহীন, ফ্রিল্যান্সার মো. সোহাগ হোসেন এবং সুরভী রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার (এসপি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা ফ্রিল্যান্সারদের কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। তাদের পেশাগত সমস্যা ও উত্তরণের উপায় সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
জানা যায়, নাটোরের পুরনো জেলখানা ভবন এলাকায় দুই দশমিক পাঁচ একর জমির ওপরে ছয় কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে- পুরনো জেলখানা ভবন সংস্কার করে প্রশিক্ষণ সেন্টার তৈরি ও ছয়তলা ফাউন্ডেশনের ওপর নতুন দ্বিতল ভবনে ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ।
সেন্টারটিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং ট্রাবলশ্যুট এবং কন্ডাক্টিং ই-কমার্স ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এতে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কার্যক্রম চালু করার পর ২১টি ব্যাচে মোট ৪৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী তাদের প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে এখন ইনকিউবেশনের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৮
জিপি