সোমবার (০৮ অক্টোবর) ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এমন তথ্য জানান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক।
তিনি বলেন, অবৈধ ভিওআইপি কর্মকাণ্ডে বায়োমেট্রিক সিম ব্যবহার হচ্ছে।
জহুরুল হক বলেন, অবৈধ ভিওআইপি কর্মকাণ্ডে টেলিটকের সিম বেশি ব্যবহার হচ্ছে। অপারেটরগুলোর কাছে আমরা এজন্য কারণ জানতে চাই। এরপর জরিমানা করা হয়। কেননা, অপারেটরগুলো দায় এড়াতে পারে না।
গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভিওআপির সরঞ্জাম জব্দ করার এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিটিআরসি প্রধান বলেন, বিভিন্ন অপারেটরের ১০ হাজার ৯শ’ ৪৭টি সিম, ৩৭ লক্ষাধিক টাকার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে টেলিটকের ৫ হাজার ৭৫টি, এয়ারটেল-রবি'র ৩ হাজার ৮শ’ ৯৭টি, গ্রামীণফোনের ১ হাজার ৪শ’ ১৪টি, বাংলালিংকের ৪শ’ ২৬টি, র্যাংকসটেলের ১শ’ ২০টি এবং বাংলালায়নের ১৫টি সিম জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিটিআরসির অভিযানের ফলে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবছর সরকারের ৫০ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হচ্ছে। আর এখন থেকে আমরা অবৈধ ভিওআইপি জব্দ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলাও দেবো।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জহুরুল হক বলেন, অপারেটরদের দায়িত্ব নিতেই হবে। দায় থেকে তারা মুক্তি পাবে না। অনেক ক্ষেত্রেই কর্পোরেট অফিসের নামে ব্যবহৃত সিম দিয়ে ভিওআইপি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এগুলো তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সংবাদ সম্মেলনে মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিসহ বিটিআরসি'র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ